ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,২২ মার্চ : মাঠে একাধিক নেতা,মন্ত্রী। সঙ্গে ফুটবল প্রশাসক। এসেছিলেন সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়াও। কন্যাশ্রী কাপ ফাইনালকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সন্তোষপুরের নবনির্মিত কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে যেন শুধুই ফুটবল উৎসব।
ম্যাচ শুরুর আগে নেতা,মন্ত্রীরা যখন মাঠে ঢুকছেন তখন দুই দিকে তুবড়ি জ্বলে উঠল। নীল-সাদা বেলুন ওড়ানো হল। তারপর বহু প্রতিক্ষিত ড্রোনে করে মাঠে আসে ফুটবল। ড্রোনে করে উড়ে এল বল। সেই বল রেফারি কণিকা বর্মণের হাতে তুলে দেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
কন্যাশ্রী কাপের ফাইনালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং শিশু কল্যাণ ও উন্নয়ন মন্ত্রী শশী পাঁজা।
কে ছিলেন না এদিনের ম্যাচে! উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, পর্যটন মন্ত্রী এবং শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, শিশু কল্যাণ ও উন্নয়ন মন্ত্রী শশী পাঁজা, কলকাতা পুরসভার সংসদ এবং চেয়ারপার্সন মালা রায়, বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এছাড়াও ছিলেন রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা, সাবিনা ইয়াসমিন, জোৎস্না মাণ্ডি, বিরবাহ হাঁসদারা।
আর ক্রীড়া জগতের মধ্যে
ছিলেন আইএফএর সভাপতি অজিত ব্যানার্জি, চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত, সচিব জয়দীপ মুখার্জি, মোহনবাগানের ভাবী সচিব দেবাশিস দত্ত, ইস্টবেঙ্গলের কর্তা রাজা গুহ, মহমেডানের কামারউদ্দিন, প্রাক্তন ফুটবলার বিদেশ বসু, মানস ভট্টাচার্য। ছিলেন বিওএ-র সভাপতি স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
কন্যাশ্রী কাপে শুরু থেকেই সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন টিম ছিল এস এস বি উওমেন্স ফুটবল ক্লাব। গত বছরের মতোই এবারও তারা আধিপত্য রেখেই চ্যাম্পিয়ন হল। সাদার্ন সমিতিকে ১-০ গোলে হারিয়ে পর পর দুই বার চ্যাম্পিয়ন হল এস এস বি ফুটবল ক্লাব। প্রথমার্ধের ১৪ মিনিটের মাথায় রঞ্জিতা দেবী জয়সূচক গোলটি করেন। ম্যাচের সেরা হয়েছেন এই রঞ্জিতা দেবী।
সেরা গোলকিপার নির্বাচিত হয়েছেন রানী ভৌমিক (কালীঘাট স্পোর্টস লাভার্স) সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পেয়েছেন মীনা খাতুন (সাদার্ন সমিতি)।
চ্যাম্পিয়ন দল ৫০ হাজার ও রানার্স দলকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।