◆মেসিকে ধরার ব্যর্থ চেষ্টা ডাচদের◆
◆আর্জেন্টিনা ২ (৪)
◆নেদারল্যান্ডস ২ (৩)
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : এ যেন ২০১৪ বিশ্বকাপের রিটেক। সেই বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারেই হারিয়েছিল মেসির আর্জেন্টিনা। আর কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে সেই ট্রাইব্রেকারেই হারাল।
ম্যাচের ৭১ মিনিটে আর্জেন্টিনা ২-০ গোলে এগিয়ে যায়। দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও অবিশ্বাস্য ভাবে উইঘর্স্ট দু-দুটি গোল করে ঘুরে দাঁড়ায় ডাচ বাহিনী। দুই গোলে পিছিয়ে নেদারল্যান্ড যা ফুটবল খেলেছে তা অনবদ্য। অল আউটে উঠে আর্জেন্টিনা চাপে পড়ে গিয়েছিল। তবে অতিরিক্ত সময়ের শেষ ১৫ মিনিট মেসিরা যা খেলেছেন এই খেলাটা একটু আগে খেলতে পারলে হয়তো ম্যাচ টাইব্রেকারে পৌঁছতো না। শেষ পযর্ন্ত টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক মার্টিনেজ জোড়া গোল বাঁচিয়ে মেসির মতোই তিনিও আজ নায়ক হয়ে উঠেছেন।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই নেদারল্যান্ড টার্গেট করেছিল মেসিকেই। তাঁকে রোখার জন্য জোনাল মার্কিং করেছিলেন ডাচ কোচ লুই ফান হাল। জোনাল মার্কিং রেখেছিলেন। মেসি বল ধরলেই তাঁর দিকে ধেয়ে আসছিলেন তিন থেকে চার ডাচ ফুটবলার। কখনও বল ছাড়াও শারীরিক ভাবে বাধাও দেওয়া হয়। তবু মেসিকে আটকাতে ব্যর্থ ডাচ কোচ। নিজে গোল করালেন। আবার নিজেও করলেন। আবার পেনাল্টি থেকে গোল করলেন।
প্রসঙ্গত, এদিনের ম্যাচের পরিবেশ এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে রেফারিকে ১২টা হলুদ কার্ড দেখাতে হয়। ম্যাচেয মাঝে মাঠেয ভিতরে একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। নেদারল্যান্ডসের রিডার্ভ বেঞ্চের ফুটবলাররা মাঠের ভিতরে গেয়ে মারামারি শুরু করেন। অন্যান্য ম্যাচের তুলনায় এই ম্যাচটির রেফারিং উন্নত মানের নয়।
ম্যাচের প্রথম গোলটি আসে মোলিনার পা থেকে। প্রায় ৩০ গজ দূরে বল ধরেন মেসি। চার ডিফেন্ডারকে নিয়ে সামনের দিকে এগোন। তার পর কোনাকুনি বল বাড়ান বক্সে থাকা মোলিনার দিকে। সেই পাস থেকে গোল করতে ভুল করেননি মোলিনা।
দ্বিতীয় গোলটি পেনাল্টি থেকে করেন মেসি। ৭১ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে আকুনাকে ফাউল করেন ডেঞ্জিল ডামফ্রিস। পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। গোল করেন মেসি।
৮৩ মিনিটের মাথায় একটি গোল করে ব্যবধান কমান উইঘর্স্ট। গোলটা পেয়ে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে শেষ দশ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে গোল করে সমতা ফেরান সেই উইঘর্স্ট। ম্যাচ গড়ায় ট্রাইব্রেকার। সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা খেলবে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে।