◆মহমেডানের অধিনায়ক মার্কাস জোসেফ◆
◆মহমেডান – ৩ (মার্কাস-২,ওসমানে)
◆ভবানীপুর – ০
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : সাদা-কালো শিবিরে উঁকি মেরে দেখুন, সব কিছুই যেন পাল্টে গিয়েছে। ক্লাব তাঁবু থেকে কর্তাদের ফুটবল পরিচালনা, লক্ষ্য, মানসিকতা – সবেতেই মহমেডান স্পোর্টিং বদলে গিয়েছে। এই বদলে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে গত বছর থেকে। আজ, রবিবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে কলকাতা ফুটবল লিগের ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন দলের মতো খেললেন মহমেডানের ফুটবলাররা। খেলাতেও বদলের ছোঁয়া। নিচ থেকে নিজেদের মধ্যে একাধিক পাস খেলতে খেলতে বিপক্ষের বক্সে পৌঁছে যাচ্ছেন সাদা-কালো জার্সিধারীরা। এযেন পাসিং ফুটবলের জলছবি। এমন দুরন্ত ফুটবলের সামনে দাঁড়াতেই পারল না ভবানীপুর ক্লাবের ফুটবলাররা। দাপুটে ফুটবল খেলে ভবানীপুরকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দিল মহমেডান স্পোর্টিং। জোড়া গোল করলেন অধিনায়ক মার্কাস জোসেফ এবং একটি গোল করলেন ওসমানে।
কলকাতা লিগের সুপার সিক্স পর্বে মহমেডানের ছিল দ্বিতীয় জয়।
লিগের চূড়ান্ত পর্বের প্রথম দুটো ম্যাচ ইস্টবেঙ্গল ড্র করায় মহমেডানের সামনে চ্যাম্পিয়নশিপের দরজা খুলে গেল। প্রথম ম্যাচে এরিয়ানকে এবং আজ ভবানীপুরকে হারানোর পর লিগ খেতাবের কাছে পৌঁছে গেল মহমেডান। বাকি দুই ম্যাচ জিতলেই সরাসরি এবারও লিগ খেতাব ঘরে তুলে ফেলতে পারবে মহমেডান।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই দাপটের সঙ্গে শুরু করে মার্কাস-ওসমানে-আভাসরা। প্রথমার্ধেই কম করে ছটা গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল। কিন্তু গোলটাই হচ্ছিল না। পুজোর আগে লিগে ভবানীপুর যে ফুটবল খেলেছিল তার ছিঁটেফোটাও এদিন দেখা গেল না। এদিন কোনও প্রতিরোধই গড়তে পারেনি ভবানীপুর। ব্যর্থ ক্রিজো। কলকাতা লিগের প্রাথমিক পর্বে গোল পেলেও, এদিন মহমেডানের বিরুদ্ধে সুবিধা করতে পারেননি।
মহমেডান প্রথম গোল করে প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে। জুডিকার ক্রস থেকে মার্কাসের দুরন্ত হেডে গোল। ৬৭ মিনিটে প্রীতমের শট বক্সের মধ্যে ক্রিজোর হাতে লাগে। পেনাল্টি দেন রেফারি। সেই পেনাল্টি থেকে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করেন মার্কাস জোসেফ। ৭২ মিনিটে গোল করেন ওসমানে। যুগ্মভাবে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন মহমেডান অধিনায়ক ত্রিনিদাদ টোবাকোর স্ট্রাইকার মার্কাস জোসেফ ও ওসমানে।