ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : আগামী সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে দুই জেলায় শুরু হতে চলেছে সাব জুনিয়র (বালক বিভাগ) জাতীয় ফুটবলের আসর। দীর্ঘ দুই যুগ পর মুর্শিদাবাদের বহরমপুর এবং মালদা শহরে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের এই চ্যাম্পিয়নশিপের আসর বসছে। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর শুরু। ফাইনাল ১২ সেপ্টেম্বর।
বহরমপুর শহরে শেষ বার জাতীয় ফুটবলের আসর বসেছিল ১৯৯৪-‘৯৫ মরসুমে। তারপর বহরমপুরে জাতীয় স্তরের ফুটবল প্রতিযোগিতা হয়নি। মালদা শহরে শেষ বার জুনিয়র জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ হয়েছিল ২০০৪’-‘০৫ মরসুমে। এআইএফ এফের তৎকালীন সভাপতি প্রিয় রঞ্জন দাশমুন্সি মালদা শহরে গিয়ে সেই বছর জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধন করেছিলেন। এই তথ্য জানালেন মালদা জেলা ক্রীড়া সংস্থার কোষাধ্যক্ষ দিলীপ দে।
এবারের এই সাব জুনিয়র বয়েস ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপের মোট পাঁচটা জোনে হবে। তার মধ্যে মালদা ও বহরমপুর জোনে অংশ নিচ্ছে মোট ১৫ টি রাজ্য দল। প্রথমে ঠিক ছিল সাই অংশ নেবে। পরে সাই জানিয়ে দেয় তারা এবার এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারছে না। এই জোনে ১৫ টি রাজ্য দলকে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। গ্রুপ – ‘বি’ এবং গ্রুপ – ‘ডি’র দল খেলবে বহরমপুর স্টেডিয়ামে। আর গ্রুপ ‘এ’ ও ‘সি’র দল গুলি খেলবে মালদা স্টেডিয়ামে। মালদায় গ্রুপ লিগের ম্যাচ ছাড়াও একটি সেমিফাইনাল ম্যাচ হবে। বহরমপুরে একটি সেমিফাইনাল সহ ফাইনাল ম্যাচ হবে।
এই চারটি গ্রুপের মধ্যে ‘বি’ গ্রুপকে বলা হচ্ছে ‘গ্রুপ অফ ডেথ।’ আর এই গ্রুপেই আছে বাংলা দল। এই গ্রুপে বাংলা দলের সঙ্গে আছে গোয়া,হরিয়ানা এবং মনিপুর। বাংলার পক্ষে যথেষ্ট কঠিন গ্রুপ। বাংলা দল তিনটি ম্যাচই খেলবে বহরমপুরে। ইতিমধ্যে এবারের আইএফএ-এর কোচেস কমিটি এই সাব জুনিয়র বাংলা দলের জন্য কোচ হিসেবে বেছে নিয়েছেন পার্থ সেনকে। তিনি গত তিন দিন ধরে সাইতে ট্রায়ালের মধ্যে বাংলা দল বেছে নেওয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছেন। বাংলা দল ৩ সেপ্টেম্বর প্রথম খেলতে নামবে হরিয়ানার বিরুদ্ধে। পরের দুটি ম্যাচ যথাক্রমে মনিপুর (৫ সেপ্টেম্বর ) ও গোয়ার (৭ সেপ্টেম্বর ) বিরুদ্ধে খেলবে বাংলা।
মালদা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন,”আমরা সব সময় চাই, জেলায় ভাল টুর্নামেন্ট হোক। ন্যাশনাল লেভেলের ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আইএফএকে আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি।আশাকরি সুষ্ঠুভাবে টুর্নামেন্টটা আয়োজন করতে পারব।” মুর্শিদাবাদ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব বিশ্বজিৎ ভাদুড়ি আবার আইএফএ-এর সহসভাপতি। তিনি ‘ইনসাইড স্পোর্টস’কে বলছিলেন,”বহু বছর পর আমাদের জেলায় জাতীয় ফুটবলের আসর বসছে। আড়াই যুগ আগে শেষবার যখন এই বহরমপুর স্টেডিয়ামে এম দত্ত রায় ট্রফি হয়েছিল তখন আমি বাংলা দলের লোকাল ম্যানেজার ছিলাম। এই ধরনের চ্যাম্পিয়নশিপের আসর জেলায় বসলে ফুটবল পক্ষে ইতিবাচক দিক। সফল ভাবে এই প্রতিযোগিতা সম্পন্ন করার চেষ্টা করব।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত রবিবার ও সোমবার বহরমপুর ও মালদা স্টেডিয়াম গিয়ে সব ব্যবস্থাপনা নিজের চোখে দেখে এসেছেন আইএফএ সচিব অনির্বান দত্ত। তিনি ‘ইনসাইড স্পোর্টস’কে বলছিলেন,”জেলার ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে জেলাতে এই ধরনের জাতীয় স্তরের টুর্নামেন্টের প্রয়োজন আছে। আমি বহরমপুর ও মালদা গিয়ে পরিকাঠামো দেখে এলাম। বেশ ভাল পরিকাঠামো। জাতীয় স্তরের টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে এগিয়ে আসার জন্য মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্তাদের ধন্যবাদ জানাই।”