ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করেই আবার আইএফএ-এর সঙ্গে পথ চলা শুরু করল টেকনো গ্রুপের SNU (সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি)। আজ,বুধবার মধ্য কলকাতার হোটেল হিন্দুস্থান আইএফএ-SNU -এর আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা হয়ে গেল। উপস্থিত ছিলেন -SNU -এর আচার্য ও কর্ণধার সত্যম রায় চৌধুরী, ভাইস চ্যান্সেলর ধ্রুবজ্যোতি চট্টপাধ্যায়, আইএফএ – এর চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত, সভাপতি অজিত ব্যানার্জি,সচিব অনির্বান দত্ত।
গত বছরও আইএফএ-এর সঙ্গে যুক্ত ছিল -SNU, এবার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করেই আইএফএ-এর সঙ্গে পথ চলা শুরু করলেন সত্যম রায় চৌধুরী। শুধু কি সুপার সিক্সের ম্যাচ গুলোর জন্যই -SNU স্পনসর হিসেবে এগিয়ে এল? প্রশ্নের জবাবে সত্যম রায় চৌধুরী বলেন,”গত বছর যখন আইএফএতে এসেছিলাম তখনও বলেছিলাম, আমি এক বছরের জন্য আসিনি। এবছর যখন অজিতদা ও অনির্বান যখন আমার সঙ্গে বৈঠক করেন তখনও আমাদের মধ্যে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করেছি। ফুটবলের জন্য আমি সব সময় ছিলাম, আছি এবং থাকবো। আমি লংটার্মে বিশ্বাস করি। আইএফএ-সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা আইএফএ-এর সঙ্গে থেকেই ফুটবলের কাজ করব।”
আইএফএ চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন,”সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি শিক্ষার সঙ্গে ক্রীড়ার চমৎকার মেলবন্ধন করেছে। আইএফএ – এর পাশে থেকে বাংলার ফুটবলকে সাহায্য করছেন সত্যম রায় চৌধুরী। তার জন্য তাঁকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আমি প্রস্তাব দিচ্ছি, অদুর ভবিষ্যতে সত্যমবাবু আইএফএ-এর চিফ প্যাট্রন হিসেবে যুক্ত হোন। তাঁর মতো মানুষের যুক্ত থাকা মানে ফুটবলের উন্নয়ন।”
আইএফএ সভাপতি অজিত ব্যানার্জি বলেন,”গত দুই বছর সেই ভাবে লিগ হয়নি। যেটা হয়েছে প্রিমিয়ারের ১২ টা দল নিয়ে লিগ হয়েছে। এবার পূর্ণাঙ্গ লিগ হচ্ছে। এর সঙ্গে এই প্রথম বয়স ভিত্তিক লিগ শুরু করতে পেরেছি। গত দুই বছরে লিগ করার পরিকাঠামো নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এবার লিগ শুরু করতে গিয়ে সেটা বুঝতে পেরেছি। তারপর আবার এক মাস দেরিতে লিগ শুরু করতে হয়েছে। অনির্বান দত্ত সবে মাত্র তিন মাস হল আইএফএ সচিব পদে বসেছেন। অনির্বান ভাল ছেলে,ভাল কাজ করছে। ডায়ানেমিক ছেলে। ওকে আমাদের সময় দিতেই হবে। তবে SNU যেভাবে আইএফএ-এর সঙ্গে যুক্ত হল তার জন্য সত্যম রায় চৌধুরীকে আমার অসংখ্য ধন্যবাদ। তাঁকে একবার পাশে থাকার জন্য বলতেই সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়েছেন। আমরা কৃতজ্ঞ। SNU -কে নিয়ে আমাদের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা আছে। আলোচনাও হয়েছে। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়েই নতুন করে পথ চলা শুরু করলাম।”
আইএফএ সচিব অনির্বান দত্ত বলেন,”SNU যেভাবে আইএফএ-এর পাশে দাঁড়ালেন তার জন্য সত্যম রায় চৌধুরীকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাই না। তিনি শুধু স্পনসর হিসেবে আসেননি। তিনি প্রকৃতই ফুটবলকে ভালবাসেন। আমাদের মতো সত্যমবাবুও চেয়েছেন বলেই সুপার সিক্সের প্রতিটি ম্যাচে ‘ম্যান অফ দ্য ম্যাচ’ এবং প্রতিভাবান ফুটবলারদের পুরস্কৃত করা হবে। শুধু তাই নয়,মেডিকেল সাপোর্টও দেবেন। এমন মানুষকে সব সময়ের জন্য পেলে আইএফএ উপকৃত হবে।”
এদিন আইএফএ–SNU -এর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সত্যমবাবু বলেন,”আমি সব সময় ক্রীড়ার সঙ্গে আছি। কিছুদিন আগে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, আমরা একটা স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি করছি। আপনারা নিশ্চয় জানেন।”
আইএফএ চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আপনাকে আইএফএ – এর চিফ প্যাট্রন হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। এই পদে কি আপনাকে দেখতে পাবো? প্রশ্নের উত্তরে সত্যম রায় চৌধুরী বলেন,”এমন প্রস্তাব পেয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। তবে এই নিয়ে এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি।”
এদিন সত্যমবাবু প্রকাশ্যে বলেন, “আইএফএ-এর সঙ্গে যুক্ত হতে পেরেছি যার জন্য তার নাম না করলেই নয়। সে পার্থ আচার্য। গত বছর পার্থর জন্যই আইএফএ তে আসা। আমি আইএফএকে বলেছি দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি করে নিতেই পারে। আমি আইএফএ-এর সঙ্গে আছি থাকব।”
এদিন এই অনুষ্ঠানে ময়দানে উপস্থিত ছিলেন মোহনবাগান ক্লাবের ফুটবল সচিব স্বপন ব্যানার্জি, ইস্টবেঙ্গলের প্রতিনিধি দীপঙ্কর চক্রবর্তী, খিদিরপুর স্পোর্টিং ক্লাবের অমিতাভ বিশ্বাস সহ একাধিক ক্লাবের কর্তারা।