ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : নিয়ম ভেঙে বহিরাগত ক্রিকেটারের জাল নথি জমা করে খেলানোয় বিপাকে ময়দানের শতাব্দী প্রাচীন ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব। ভুয়ো আধার কার্ড নথিভুক্ত করে ভিন রাজ্যের ক্রিকেটার খেলিয়েছেন ভিক্টোরিয়া ক্লাব কর্তারা। সিএবির কাছে ধরাও পড়ে গিয়েছে। ফলে সিএবি ভিক্টোরিয়া ক্লাবকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে। সেই সঙ্গে জাল আধার কার্ড দেখিয়ে খেলার অপরাধে উত্তরপ্রদেশের ক্রিকেটার রৌনক সিংকে দুই বছরের জন্য নির্বাসিত করল সিএবি। আগামী দুই বছর সিএবির কোনও টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবেন না ক্রিকেটার রৌনক।
সিএবি লিগে বহু বছর ধরেই ভুয়ো আধার কার্ড জমা করে বহু ক্রিকেটার খেলে আসছেন। এটা বাড়তে বাড়তে এমন একটা জায়গায় গিয়েছে যে, সিএবি লিগে ভিন রাজ্যের ক্রিকেটা ভরে গিয়েছে। বাঙালি ছেলেদের সামনে সুযোগ কমে আসছিল। যার ফলে বাংলার রনজি দলে ভিন রাজ্যের ক্রিকেটার ভিড়। সব জেনেও সিএবি কর্তারা ‘জেগে ঘুমোচ্ছিলেন’। যদিও বেআইনি ভাবে ভিন রাজ্যের ক্রিকেটার খেলানো নিয়ে কিছুদিন আগেই সরগরম হয়েছিল বাংলার ক্রিকেট মহল। এবার দেরিতে হলেও পদক্ষেপ করা শুরু করল বাংলার ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা সিএবি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইডেনে সিএবির দ্বিতীয় ডিভিশনের ওয়ান ডে সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব। ওই ম্যাচে ভিক্টোরিয়া আট উইকেটে জিতলেও রৌনক সিং ও মুদিত প্রভাকরকে খেলানো নিয়েই প্রচণ্ড গণ্ডগোল হয়। সিএবির নিয়ম অনুযায়ী দ্বিতীয় ডিভিশনে কোনও ভিনরাজ্যের ক্রিকেটারকে খেলানো যায় না। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ দাবি করেছিল যে, এই দুই ক্রিকেটারের কেউই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা নন। তাঁদের জাল ভোটার কার্ড দেখিয়ে খেলছেন। রৌনক ও মুদিত বহিরাগত, এসেছেন ভিন রাজ্য থেকে। পুলিশ এই মর্মেই প্রতিবাদ জানিয়ে ম্যাচের মাঝেই অবজার্ভারকে চিঠি দিয়ে তাদের অভিযোগ দায়ের করেছিল। তারপরেই সিএবি কর্তরা তদন্তে নামেন। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখে সিএবি। মুদিত প্রভাকরের নথি ঠিক থাকলেও রৌণকের আধার কার্ডটি ছিল পুরো জাল। ওয়েবসাইটে পরীক্ষা করে দেখা যায় রৌণক উত্তরপ্রদেশের ছেলে। শনিবার প্রেস বিবৃতি দিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করল রাজ্যের ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা। সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া জানিয়েছেন,”দুর্নীতিগ্রস্ত আচরণের ক্ষেত্রে অ্যাসোসিয়েশন
শূন্য সহনশীলতা নীতি মেনে চলবে।”
ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তাদের কাছে রৌনক যে আধার কার্ড দিয়েছিলেন তাতে কলকাতার ঠিকানাই রয়েছে। ক্লাবকে না জানিয়েই রৌনক ঠিকানা বদল করে ফেলেন। এটা তাঁরা জানতেন না।