কেরল – ১ (৫)
বাংলা – ১ (৪)
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,২ মে : গ্রুপ লিগের ম্যাচে এই কেরলের বিরুদ্ধে গুটিয়ে ছিল বাংলা। অতি রক্ষনাত্মক খেলতে গিয়ে হারতে হয়েছিল রঞ্জনের ছেলেদের। আর আজ, ৭৫ তম সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে সেই কেরলের বিরুদ্ধে শুরু থেকে বুক চিতিয়ে লড়াই করে গেলেন এক ঝাঁক বাঙালি। প্রিয়ন্ত,তন্ময়, মনোতোষরা আজ যেন সেই পুরোনো বাংলার ফুটবলের দাপট ফিরিয়ে এনেছিলেন। আজ তো বাংলার ট্রফি নিয়ে মাঠ ছাড়ার কথা। ম্যাচের রিপোর্ট কার্ড তো সেই কথায় বলে। কিন্তু সব অঙ্ক মেলে না। ভাল খেলেও ট্রফি পাওয়া যায় না। তবে চ্যাম্পিয়ন হয়নি ঠিকই কিন্তু এদিন এক ঝাঁক বাঙালি মাথা উঁচু করেই মাঠ ছাড়লেন। বুঝিয়ে দিলেন বাংলার ফুটবল এখনও উজ্জ্বল আছে। এমন আক্রমণাত্মক ফুটবল দেখেও চিংকার করে বলতে ইচ্ছে করে- “আমাদের(বাঙালি) নিয়ে এখনও গর্ব করো, ভরসা রাখো। আমরাই পারি এভাবে ঘুরে দাঁড়াতে।” তিনদিন আগেও আইএফএ অফিসে কিছু ক্লাব কর্তা বলছিলেন, বাংলার কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্যের নাকি চ্যাম্পিয়নস লাক নেই। এসব হয়তো ময়দানি অন্ধ বিশ্বাস,কিন্তু গ্রুপ লিগের কেরল ম্যাচ ছাড়া কোচ রঞ্জন যথেষ্ট ভাল ভূমিকা নিয়েছেন। দলকে নিজের মতো করে ফাইনালে তুলে নিয়ে ছেলেদের মধ্যে দুরন্ত লড়াইটা বার করতে পেরেছেন।
এদিন ফাইনালে কেরলের বিরুদ্ধে দাপটের সঙ্গে খেলেছে বাংলা। অনেক এগিয়ে ছিল বাংলা। গোলের সুযোগ তৈরি করেও গোল আসেনি। অথবা প্রতিপক্ষের দুরন্ত শট আটকে আজও রক্ষাকর্তা হয়ে তিন কাঠির নিচে দাঁড়িয়ে ছিলেন বাংলার গোল রক্ষক প্রিয়ন্ত সিং। ৯০ মিনিটে গোল করতে পারেনি কেউই।
ম্যাচের অতিরিক্ত সভয়ে ( ৯৭ ) মিনিটে দিলীপ ওরাওঁয়ের গোলে এগিয়েও যায় বাংলা ৷ ম্যাচের বয়স তখন ১১৬ মিনিট। বাংলা এগিয়ে ১-০ গোলে। সবমিলিয়ে মনে হচ্ছিল বাংলার ভারত সেরা হওয়াটা সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু ১১৭ মিনিটে বিবিন অজয়নের গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় কেরল। পরে টাইব্রেকারে ৫-৪ ব্যবধানে হেরে যায় বাংলা। টাইব্রেকারের দ্বিতীয় শট নিতে এসে বল তিন কাঠির বাইরে পাঠান সজল বাগ। কেরল পাঁচটি শটের পাঁচটিতেই গোল করে ভারত সেরা হয়েই মাঠ ছাড়ল।