◆ডেভিডকে আটকাতে ব্যস্ত ইউনাইটেডের এক ডিফেন্ডার ◆
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : লিগের প্রথম ম্যাচে দুর্বল সিএফসিকে ৭ গোলে হারিয়েছিল মহমেডান। বড় ব্যবধানে জেতার পরও প্রশ্ন ছিলই,শক্তিশালী ইউনাইটেড স্পোর্টসের সঙ্গে জিততে পারবে তো? হেরে যাবে না তো? শনিবার সেই প্রশ্নর উত্তর দিয়ে দিলেন মেহেরাজউদ্দিনের ছেলেরা। শুধু ১-০ গোলে জেতা নয়, রীতিমতো ৯০ মিনিট দাপটের সঙ্গে খেলে দ্বিতীয় ম্যাচেও জিতল মহমেডান স্পোর্টিং।
শনিবার নিজেদের গ্যালারি ভর্তি মাঠে ইউনাইটেড স্পোর্টসকে কোনঠাসা করে রেখে দিল মহমেডান। গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে অন্তত তিন গোলে জিততে পারত মহমেডান। প্রথম থেকেই মাঝমাঠ দখল নিয়ে দুটি প্রান্তকে চমৎকার ব্যবহার করে গেল। ছোট ছোট পাস খেলতে খেলতে পৌঁছে যাচ্ছিল ইউনাইটেডের বক্সে। ইউনাইটেড দলের ফুটবলাররা তখন মহমেডানের আক্রমণ আটকতে সবাই নেমে এসেছে। কিন্তু বক্সে গিয়ে গোলের রাস্তা খুলতে পারছিলেন না ডেভিড,ব্যারেটো, সামাদ,গণেশরা। তার মাঝে প্রতি আক্রমণে গিয়েও মহমেডানের বক্সে হানা দিয়েছিলেন স্টিভ হারবোটসের ছেলেরা।
প্রথমার্ধে গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে গোল পেতে আরও মরিয়া হয়ে ওঠেন মহমেডানের ফুটবলাররা। ততক্ষণে দর্শকদের চাপও বাড়ছিল। তারাও গোল দেখতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। এরই মাঝে মহমেডানের ডেভিডকে পিছন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন ইউনাইটেডের এক ডিফেন্ডার। রেফারি সুরজিত দাস কেন পেনাল্টি দিলেন না বোঝা গেল না।
আক্রমণ বাড়ছে, গোল হচ্ছে না, অথচ ম্যাচের সময় কমে আসছে আর দর্শকদের ততোই চাপ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে ৭৪ মিনিটের মাথায় জয়সূচক গোলটি করেন মিজোরামের ছেলে ডেভিড। প্রথম ম্যাচে সিএফসির বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করার পর দ্বিতীয় ম্যাচেও গোল করে মহমেডানকে জয় এনে দিলেন।
ম্যাচের শেষে মহমেডান কোচ মেহেরাজউদ্দিন বলেন,”আমরা আরও বেশি গোলে জিততে পারতাম। অনেক গোলের সুযোগ তৈরি করেও কাজে লাগাতে পারিনি। তবুও দিনের শেষে জয় পেয়েছি। এবার পরের ম্যাচ নিয়েই ভাবতে চাই।” আপনি মনে করেন, আজ একটা পেনাল্টি থেকে আপনারা বঞ্চিত? “আমি যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম সেখান থেকে আমার মনে হয়েছে ডেভিডকে পিছন থেকে ধাক্কা মেরেছে। তবে বলের কাছে ছিলেন রেফারি। তিনি নিশ্চয় কাছ থেকে দেখে হয়তো সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।” বলছিলেন মহমেডান কোচ মেহেরাজউদ্দিন।
ম্যাচের শেষে ইউনাইটেড স্পোর্টসের কোচ স্টিভ হার্বোটস বলেন,”প্রথম পনেরো মিনিট ওদের দেখে নিতেই একটু রক্ষণাত্মক খেলেছিলাম। এটা আমাদের পরিকল্পনা ছিল। পরে কিন্তু আমরা আক্রমণ করেছি। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ভালই আক্রমণাত্মক খেলেছি। দীর্ঘ সময় ওরা গোল করতে পারেনি। তবে শেষ পযর্ন্ত মহমেডান জিতেছে। আমাদের পরের ম্যাচ জিততে হবে।”