রাজস্থান ইউনাইটেড – ৩
এটিকে মোহনবাগান – ২
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : গত বছর আই লিগে শেষ করেছিল ৬ নম্বরে। অখ্যাত দল। এমন এক অজানা-অচেনা দলের কাছে হেরে মাঠ ছাড়তে হবে হয়তো ভাবেননি সবুজ-মেরুন সমর্থকরা। ডুরান্ড কাপের অভিযানেই হার। রাজস্থান ইউনাইটেড ৩-২ গোলে হারাল এটিকে মোহনবাগানকে। অঘটন? নাকি অখ্যাত রাজস্থানকে পেয়ে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস?
মোহনবাগানের গ্রুপে রয়েছে রাজস্থান ইউনাইটেড, ইন্ডিয়ান নেভি, মুম্বই সিটি এফসি এবং ইস্টবেঙ্গল। এককথায় ‘গ্রুপ অব ডেথ’। সেটা যে মিথ্যে নয় তা শনিবার সন্ধ্যার স্কোরবোর্ডে প্রমাণিত। এখনও তিনটি কঠিন ম্যাচ বাকি আছে। তারমধ্যে ডার্বি। কি হবে আগামী ২৮ অগাস্ট? এই প্রশ্ন নিয়েই বাড়ি ফিরলেন হাজার দশেক সবুজ-মেরুন সমর্থক।
অথচ এদিন মোহনবাগানের ম্যাচের শুরুটা ছিল চমৎকার। এত ঘনঘন আক্রমণ করছিল তাতে প্রথম আধ ঘন্টায় অন্তত মোহনবাগান তিন গোলে এগিয়ে যাওয়ার কথা। এত গোল নষ্ট হলে এভাবেই ম্যাচ হারতে হয়।
ম্যাচের ৪৩ মিনিটে কিয়ান নাসিরি গোল করে এটিকে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন। দুই মিনিট পরেই গতির বিরুদ্ধে গিয়ে বেকতুর গোল করে রাজস্থানকে সমতায় ফিরিয়ে আনেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বুমোসের পাস থেকে গোল করেন আশিক। ৭৭ মিনিটে ফের রাজস্থান সমতায় ফেরে। এবার তাদের হয়ে গোল করেন লালরেমসাঙ্গা। এর পরেও একাধিক গোলের সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেনি এটিকে মোহনবাগান। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে বক্সের মধ্যে পাস পেয়ে জয়সূচক গোলটি করেন রাজস্থানের গিয়ামার নিকুম। এদিন বাগানের স্ট্রাইকাররা যেমন গোল নষ্ট করেছেন তেমনি বাগানের রক্ষণভাগ কতটা দুর্বল সেটাও পরিস্কার হয়ে গেছে।