ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : ক্রমশ এগিয়ে চলেছে সোনারপুর YMSA ক্লাব। মরসুমের আগে থেকেই তৃতীয় ডিভিশন থেকে দ্বিতীয় ডিভিশনে ওঠার লক্ষ্য নিয়ে দল গড়েছে YMSA ক্লাব। আর এই লক্ষ্যটাকে আরও দৃঢ় করেছেন ভারতের দুই প্রাক্তন ফুটবলার অমিত ভদ্র ও প্রতাপ ঘোষ।
নিজের জেলার ফুটবলের স্বার্থে গড়ের মাঠে খোলা মাঠে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে নিজের দলের খেলা দেখছেন,পরামর্শ দিচ্ছেন। তাও আবার তৃতীয় ডিভিশনে। এই দৃশ্য প্রতি ম্যাচে। সাম্প্রতিক কালে কোন বিখ্যাত প্রাক্তন ফুটবলার খোলা মাঠে জেলা থেকে নিজের দল আনছেন? মাঠে থাকছেন। তারকার তকমা ঝেড়ে অমিত ভদ্র,প্রতাপ ঘোষরা তখন যেন আর পাঁচটা সাধারণ ক্লাবের কর্তা। গত বছর থেকেই এভাবেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা থেকে দলের সঙ্গে গড়ের মাঠে আসছেন অমিত ভদ্র-প্রতাপ ঘোষ। আরও অবাক হতে হয় যখন জানা যায় এই ক্লাব দলটার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য কোনও রকম পারিশ্রমিক নেননা। বরং ফুটবলাররা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যের মধ্যে থাকে তার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন ওঁরা।
সোমবার টাউন মাঠে বেহালা ইয়ুথকে ২-০ গোলে হারাল সোনারপুর YMSA ক্লাব। একটি করে গোল করেছেন সুকান্ত নস্কর ও বলরাম রায়। এই নিয়ে পরপর চার ম্যাচ জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ তালিকার শীর্ষে YMSA ক্লাব। ম্যাচ শেষে অমিত ভদ্র বলছিলেন,”আমাদের লক্ষ্য দ্বিতীয় ডিভিশনে ওঠা। এখনও অনেক পথ যেতে হবে। আমরা ধাপে ধাপে এগোতে চাই। দেখা যাক কি হয়।” এই YMSA ক্লাবের ফুটবল সচিব দেবাশিস মন্ডল ম্যাচ ছিতলেই গোলদাতাকে টি-শার্ট এবং দলকে দুই হাজার টাকা করে দিচ্ছেন। গোটা দলকে আগলে রেখেছেন রঞ্জিত মন্ডল,স্বপন বসু এবং ক্লাব সচিব শঙ্কর বসু। তবে YMSA এর কোচ সুজিত কর্মকারকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন অমিত-প্রতাপ সহ ক্লাব কর্তারা। কোচ সুজিতও তাঁদের পরামর্শ নিচ্ছেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে। সব মিলিয়ে YMSA পরিবার একটা মিশনে আছে।
এদিন, তৃতীয় ডিভিশনের অন্য ম্যাচে ভিক্টোরিয়া ১-০ গোলে হারাল ক্যালকাটা জিমখানাকে। ওয়েষ্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ৩-২ গোলে হারাল সোনালি শিবিরকে। ব্যাতোর স্পোর্টিং ১-০ গোলে হারাল বার্নপুরকে। গরলগাছা স্পোর্টিং ১-০ গোলে হারাল অ্যালবার্টকে।