ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,কলকাতা, ২১ অগাস্ট : অমল দত্ত একটা কথা প্রায় বলতেন,”ভাল ফুটবল খেলতে হলে প্রথম শর্ত হল ভাল মাঠের প্রয়োজন।” আজ, মহমেডান স্পোর্টিং মাঠে জর্জ টেলিগ্রাফ স্পোর্টস বনাম টালিগঞ্জ অগ্রগামীর ম্যাচ দেখতে দেখতে প্রয়াত কোচ অমল দত্তর কথা মনে পড়ছিল বারবার।
২০১৯ সালে নিজ ক্লাবের ক্রীড়া উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার তিন প্রধানকে মোটা টাকা দিয়েছিল। মোহনবাগান,ইস্টবেঙ্গল মাঠ তৈরি করে প্রতি বছর। আর অবহেলায় পড়ে থাকে মহমেডানের মাঠ। সাদা-কালো জার্সিধারীরা নিজেদের মাঠে কবে ম্যাচ খেলেছেন তা মনে করতে পারবেন না। মহমেডান কর্তারা দেড় বছর আগে মাটি ফেলে, ঘাস ফেলে সবুজ করেছেন ঠিকই। কিন্তু সবুজের নিচে দলা দলা এঁটেল মাটি। বুট পড়ে এই মাঠে নামলেই মূহুর্তের মধ্যে সামনে আসে মহমেডান মাঠের কঙ্কালসার চেহারা। আইএফএ-এর উচিত মহমেডানের কর্তাদের মাঠ নিয়ে সতর্ক করা।
এমন জঘন্য মাঠে খেলার মান যা হওয়ার তাই হয়েছে। উদ্দেশ্যহীন পাস। মাঝমাঠেও তথৈবচ। ছন্দহীন ফুটবল। তবে ম্যাচে বল ফজিশন বেশি ছিল জর্জের। এমন ম্যাচে কষ্টার্জিত জয় জর্জ টেলিগ্রাফের। টালিগঞ্জকে ১-০ গোলে হারাল র্জজ।
এবার ১১ টা জেলা থেকে ফুটবলার নিয়ে দল করেছেন জর্জ টেলিগ্রাফ কর্তারা। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন,বিদেশি ফুটবলার নিলেও ভিন রাজ্যের কোনও ফুটবলার নেবেন না। এদিন জেলার ফুটবলারই জর্জকে শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে গোল করে তিন পয়েন্ট এনে দিলেন। ২২ বছরের মহিতোষ রায় ম্যাচের শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে গোল করে জর্জকে জয় এনে দেন। মহিতোষের আদি বাড়ি কোচবিহার। বাবার চাকরি সূত্রে এখন সল্টলেকে থাকেন। এদিন একমাত্র গোলদাতা মহিতোষ ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন। ম্যাচের শেষে মহিতোষ বলেন,”ফুটবল শুরু হয়েছে এটাই ভাল ব্যাপার। পরের ম্যাচে ভাল খেলার চেষ্টা করব।”
অন্যদিকে, মহমেডানের মাঠ নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করলেন জর্জ টেলিগ্রাফের এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি অধিরাজ দত্ত। তিনি জানান,”মহমেডানের মাঠের অবস্থা খুব খারাপ। আমাদের নেক্সট ম্যাচ হাওড়ায়। আশাকরি আমাদের টিম নিজেদের ছন্দ নিয়ে ভাল ফুটবল খেলবে।”
এদিন কলকাতা লিগের অপর ম্যাচে ক্যালকাটা কাস্টমস ১-০ গোলে হারাল এরিয়ানকে। গোলদাতা অ্যালিসিয়াস। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন কাস্টমসের ছট্টু মন্ডল।