◆চ্যাম্পিয়ন মিজোরামের ফুটবলারদের হাতে ট্রফি তুলে দিচ্ছেন আইএফএ সচিব অনির্বান দত্ত ও বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখার্জি। মঙ্গলবার বহরমপুর স্টেডিয়ামে ◆
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : জুনিয়র জাতীয় ফুটবলকে ঘিরে জেগে উঠল বহরমপুর ও মালদা। বহু বছর পর। মঙ্গলবার,মুর্শিদাবাদের বহরমপুর স্টেডিয়ামে জাতীয় সাব জুনিয়র ফুটবলের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল মিজোরাম ও মনিপুর। বাংলা দল আগেই বিদায় নিয়েছে। তার উপর ফাইনালে প্রবল বৃষ্টি। পাহাড়ের এই দুটি দলের ম্যাচ দেখতেও বহরমপুর স্টেডিয়ামের দুটি গ্যালারি ভর্তি। মনিপুরকে ৩-০ গোলে হারানোর পর চ্যাম্পিয়ন মিজোরামকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় ভরিয়ে দিলেন উপস্থিত দর্শকেরা। এই ম্যাচ দেখতে এসেছিলেন জেলার একাধিক ফুটবলার (প্রাক্তন, বর্তমান ), কর্তারা।
আসলে বহরমপুর শহরে শেষ বার জাতীয় ফুটবলের আসর বসেছিল (এম দত্ত রায়) ১৯৯৪-‘৯৫ মরসুমে। তারপর বহরমপুরে আর কোনও জাতীয় স্তরের ফুটবল প্রতিযোগিতা হয়নি। মালদা শহরে শেষ বার জুনিয়র জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ হয়েছিল ২০০৪’-‘০৫ মরসুমে। এআইএফ এফের তৎকালীন সভাপতি প্রিয় রঞ্জন দাশমুন্সি মালদা শহরে গিয়ে সেই বছর জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধন করেছিলেন। এবার ১৫টি রাজ্য দল নিয়ে বহরমপুর মালদা শহরেও এই জাতীয় ফুটবলের গ্রুপ লিগের ম্যাচ ও একটি সেমিফাইনাল হয় সুষ্ঠুভাবে। এই ফুটবলেই জেগে উঠল বহরমপুর ও মালদার ফুটবল মহল।
মুর্শিদাবাদ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব বিশ্বজিৎ ভাদুড়ি ও মালদা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর নেতৃত্বে সফল এবারের সাব জুনিয়র ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। ফাইনালে উপস্থিত ছিলেন আইএফএ সচিব অনির্বান দত্ত। ছিলেন মালদা, বীরভূম ও বাঁকুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্তা কূষ্ণেন্দু নারায়াণ চৌধুরী,দেবব্রত সাহা, সুশান্ত ব্যানার্জি, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়রা।
দুই জেলার জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ সংগঠনের কাজে খুশি আইএফএ সচিব অনির্বান দত্ত। তিনি বলছিলেন,”আমি সব সময় চেয়েছি জাতীয় স্তরের খেলাগুলি জেলায় ছড়িয়ে দিতে। বাংলার ফুটবলকে শুধু কলকাতা কেন্দ্রিক করে রাখলে হবে না। মুর্শিদাবাদ ও মালদা জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্তারা যে আন্তরিকতার সঙ্গে টুর্নামেন্টটা সংগঠিত করলেন তার কোনও প্রশংসায় যথেষ্ট নয়।”
মালদা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলছিলেন,”আমরা আইএফএকে ধন্যবাদ জানাই। তারা অন্তত মনে করেছে আমরাও জাতীয় স্তরে ম্যাচ সংগঠিত করতে পারি। ফাইনালে এসে দেখলাম ভিন রাজ্যের দুটি দল খেলছে। তবু বৃষ্টি মাথায় নিয়ে দর্শকরা মাঠে খেলা দেখতে এসেছেন। দর্শকদেরও আমি ধন্যবাদ জানাই।”
মুর্শিদাবাদ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব ও আইএফএ-র সহসভাপতি বিশ্বজিৎ ভাদুড়ি বলছিলেন,”অতীতে আমাদের এই জেলায় জাতীয় স্তরের ফুটবল হয়েছে। এবারও আমরা সফল করার চেষ্টা করেছি। তারজন্য আমাদের ডিএসএ-এর সকল সদস্য যেভাবে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে তার জন্যই টুর্নামেন্টটা করা সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় চাই, জেলায় আরও খেলা দেওয়া হোক। আর আমাদের সঙ্গে সব সময় পাশে আছেন আমাদের পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখার্জি।”