ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : কলকাতা শহরের একমাত্র নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামে খেলা হয়, বাংলার ক্রীড়া প্রেমীরা ভুলেই গিয়েছিল। গান,মেলা,রক্তদান শিবির বা জনসভা – এসবই কয়েক বছর ধরে হয়ে থাকে। সম্ভবত ২০২২ সালে একটি ক্যারাটে প্রতিযোগিতা বাদ দিলে এই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শেষ জাতীয় ক্রীড়ার আসর বসেছিল ২০১৫ সালে। সেই প্রতিযোগিতাও ছিল জাতীয় টেবল টেনিস। আট বছর পর জাতীয় টেবল টেনিসের হাত ধরে খেলা ফিরল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে।
এই ব্যাপারে রাজ্য টেবল টেনিস সংস্থার যুগ্ম সচিব শর্মি সেনগুপ্ত জানান,”আমরা রাজ্য সরকার ও ক্রীড়া দফতরের কাছে কৃতজ্ঞ। ৯ দিন ধরে আমাদের এই প্রতিযোগিতা চলবে। শুনেছি দুই,তিনটে অনুষ্ঠান বাতিল করে ইন্ডোরে জাতীয় টেবল টেনিস টুর্নামেন্ট করার সুযোগ করে দিয়েছে ক্রীড়া দফতর। আট বছর আগে এই ইন্ডোরেই আমরা জাতীয় টুর্নামেন্ট করতে পেরেছিলাম। আশাকরি সুষ্ঠুভাবে টুর্নামেন্ট শেষ করতে পারব।”
আজ,শনিবার ঘটা করেই ৮৫ তম জাতীয় ইয়ুথ ও জুনিয়র টেবল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হল। এবার মোট ৩২ টি রাজ্য দল ও দুটি সংস্থার দল সহ ৩৪ টি দল অংশ নিচ্ছে। প্রতিযোগীর সংখ্যা ১৩০০ জন। ফাইনাল আগামী ১৪ জানুয়ারি। এদিন আনুষ্ঠানিক ভাবে এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস,দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, সংস্থার সভাপতি স্বপন ব্যানার্জি, যুগ্মসচিব শর্মি সেনগুপ্ত সহ একাধিক কর্তারা। তবে আর এক যুগ্ম সচিব মান্তু ঘোষকে দেখা যায়নি।
এদিন টুর্নামেন্ট শুরু করতে বিপাকে পড়েছিলেন রাজ্য টিটি সংস্থার কর্তারা। কারণ, মিরাট থেকে টুর্নামেন্টের প্রয়োজনীয় সামগ্রী (ম্যাট,টেবল টেনিস বোর্ড) কলকাতায় ঠিক সময়ে পৌঁছতে পারেনি। যে সামগ্রি পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল টুর্নামেন্ট শুরুর একদিন আগে। তা পৌঁছয় আজ, টুর্নামেন্টের শুরুর দিন সকাল দশটায়। ট্রাক ধর্মঘটের ফলেই নাকি এই সামগ্রী আটকে গিয়েছিল। এর ফলে সাড়ে ছ’ঘন্টা দেরিতে টুর্নামেন্ট শুরু হয়।
এই ব্যাপারে শর্মি সেনগুপ্ত বলেন,”ম্যাট ও বোর্ড নিয়ে মিরাট থেকে গত শনিবার রওনা দিয়েছিল। ঠিক সময় সেই সব সামগ্রী না পৌঁছনোয় এই বিপত্তি। তবে রাজ্য সংস্থার বিশেষ তৎপরতায় সমস্যা মেটানো গিয়েছে।”