ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : ফুটবল যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে,সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক হওয়ার পদক্ষেপ করা শুরু করল জর্জটেলিগ্রাফ ইনস্টিটিউট । আর পিছনের দিকে নয়,সামনে তাকাতে হবে। সেটাকে মাথায় রেখে এই প্রথম কোনও ক্লাব,কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হল। জর্জ গ্রুপ অফ কলেজের সঙ্গে যুক্ত হল কলেজ অফ গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস (কগস)। শুক্রবার তার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হল শিয়ালদহের জর্জ টেলিগ্রাফের প্রধান দফতরে।
জর্জ টেলিগ্রাফ ইনস্টিটিউটের ফুটবল ক্লাব আছে। যার নাম জর্জ টেলিগ্রাফ স্পোর্টস ক্লাব। ৯৭ বছরে পা রেখেছে। কলকাতা প্রিমিয়ার ডিভিশনে খেলে। একটা সময়ে এই ক্লাবের দায়িত্বে ছিলেন কিংবদন্তি ক্রীড়া প্রশাসক বিশ্বনাথ দত্ত,প্রদ্যোৎ দত্ত। তারপরে ভারতের অন্যতম সফল ক্রীড়া প্রশাসক সুব্রত দত্ত জর্জের হাল ধরেছেন। এখন তার ভাই অনির্বান দত্ত এবং ভাইপো অধিরাজ দত্তর হাতে জর্জ ক্লাব। এই জর্জ টেলিগ্রাফ স্পোর্টস ক্লাব ছাড়াও সুব্রতবাবুদের আরও একটি ক্লাব আছে যার নাম “কলেজ অফ গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস”। সংক্ষেপে যাকে “কগস’ বলেই ময়দান জানে। আইএফএ নথিভুক্ত পঞ্চম ডিভিশনের ক্লাব।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,এই “কগস”-এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন সুব্রত দত্তর বাবা বিশ্বনাথ দত্ত। পরবর্তীকালে বিশ্বনাথবাবু “কগস”-এর দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির বাবা চন্ডী গাঙ্গুলির হাতে। তারও পরে ফের “কগস” ফিরে আসে সুব্রত দত্তর হাতে। সুব্রতবাবু “কগস”-এর দায়িত্ব তুলে দেন তাঁরই ভাই এবং প্রদ্যোৎ দত্তর জৈষ্ঠ পুত্র জয় ওরফে অনির্বান দত্তর হাতে। এই মূহুর্তে “কগস”-এর সচিব হলেন অনির্বান। তাঁদের লক্ষ্য আধুনিক ভাবে “কগস”কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
এতদিন ব্যক্তিগত ভাবে দত্ত পরিবারের সদস্যরা “কগস” পরিচালনা করলেও জর্জ টেলিগ্রাফের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না। এবার থেকে জর্জ কলেজের সঙ্গে “কগস” জুড়ে গেল। ফলে নতুন নাম জর্জ কলেজ অফ গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস।
জর্জ গ্রুপের ম্যানেজার ডিরেক্টর সুব্রত দত্ত বলছিলেন,”এই প্রথম কোনও ক্লাব,কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হল। আমাদের জর্জ কলেজের স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট নিয়ে যারা পড়াশোনা করছে তাদের কাছে কাজ করার সুযোগ এসে গেল। যারা ক্রীড়া প্রশাসক হতে চায় তারা স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট পড়তে আসছে। কি ভাবে ক্লাব পরিচালনকরতে হয়? কিভাবে দলের খেলোয়াড়দের দেখভাল করতে হয় তা জানতে হলে স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট পড়ার সঙ্গে অভিজ্ঞতাও সঞ্চয় করতে হয়। আর এই অভিজ্ঞতাকে সঠিক ভাবে প্রয়োগ করাটা খুব জরুরি। বাংলার খেলাধূলার জগতে সেই সুযোগ এসে গেল। আধুনিক হতে হবে।”
জর্জ কলেজের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ফলে কগসের ফুটবলাররা উপকৃত হবে? কগসের সচিব অনির্বান দত্ত জানান,”উপকারটা উভয়ের। কলেজের বদ্ধ ঘরে ক্লাস করে স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টের শিক্ষা পূর্ণতা পাওয়া যায় না। ম্যানেজমেন্টের সিস্টেম জানতে হলে মাঠে নেমে কাজ করবেন জর্জ কলেজের স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টের ছাত্র-ছাত্রীরা। ফুটবলারদের যাবতীয় তথ্য নিয়ে ফাইল তৈরি করা থেকে তাদের ট্রেনিং সিডিউল সব নজরে রাখবে এই পড়ুয়ারা। তাছাড়া ক্লাব পরিচালনা করার জন্য ফুটবলারদের সিআরএসও করবে তারা। ফুটবলারদের ডায়েট কি হবে সেটাও জানাবে তারা। একটা ফুটবল ক্লাবে যা যা দরকার তার সবটাই ব্যবস্থা করবে ছাত্র-ছাত্রীরা। এতে ফুটবলারদের যেমন সুবিধা হবে তেমনি স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টের ছাত্র-ছাত্রীরাও উপকৃত হবে। নতুন লক্ষ্য নিয়ে শুরু করলাম। কগসের ফুটবলাররা যাতে একটা সিস্টেমের মধ্যে খেলতে পারে তার জন্য জর্জ কলেজ কগসের পাশে থাকবে”।
এদিনের অনুষ্ঠানে সুব্রত দত,অনিরর্বান দত্ত ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিরেক্টর মনোজ যোশী, জর্জ ক্লাবের এক্সিকিউটিভ সচিব অধিরাজ দত্ত, জর্জের ফুটবল সচিব সব্যসাচী সরকার, প্রমূখ। এদিন কগসের জার্সি উন্মোচন করা হয়।