ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : লিগের শুরু থেকেই ঝলমলে মোহনবাগান। যেমন পাসিং ফুটবল খেলে মাঠে ফুল ফোটাচ্ছে তেমনি গোলও করছে। মহমেডান স্পোর্টিং নতুন উদ্যোগে দারুণ শুরু করেছে। প্রথম ম্যাচেই ৭ গোলে জয়। সঙ্গে দুটি হ্যাটট্রিক। বিদেশিহীন লিগে এই দুই প্রধানের সদস্য-সমর্থকদের মধ্যে ‘ফিল গুড’-এর অনুভূতি।
আর ইস্টবেঙ্গল? গত চার বছর ধরে যে তিমিরে ছিল আজও সেই তিমিরেই আছে। হতশ্রী ফুটবল। আর তারপরেই সেই চেনা অজুহাত, চেনা রোগও। সময়ের অভাবে দল ভাল ম্যাচ প্র্যাকটিসের সুযোগ পায়নি। বৃহস্পতিবার কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে রেনবোর সঙ্গে গোল শূন্য ড্র করার পর ইস্টবেঙ্গল দলের কোচ বিনো জর্জের এটাই ছিল প্রথম প্রতিক্রিয়া। শুধু অজুহাত।
প্রায় দেড় হাজার লাল-হলুদ সদস্য-সমর্থকরা মাঠে এসেছিলেন নিজেদের প্রিয় দলের জয় দেখবে বলে। কিন্তু কোথায় কি! জয় তো দুরের কথা, কুৎসিত ফুটবল খেলে মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়ল ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা। হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরলেন সমর্থকরা। ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের ভাগ্য ভাল, দলের ব্যর্থতায় কষ্ট পেয়ে এখনকার সমর্থকরা শুধু সোসাল মিডিয়ায় ‘বিপ্লব’ করেন। সাতের কি আটের দশকের সেই সদস্য-সমর্থকদের মেজাজ আজ থাকলে বছরের পর বছর এমন ব্যর্থতার কৈফিয়ত কি ভাবে জানতে চায়তেন সেটা বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই।
এদিন ম্যাচে দেখা গেল, ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণে কোনও বোঝাপড়া নেই। মাঝমাঠে ‘অন্ধের মধ্যে ঝাপসা’ হলেন কুশ ছেত্রী। আক্রমণ ভাগও তথৈবচ। উদ্দেশ্যহীন ফুটবল খেললে যা হওয়ার তাই হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,ম্যাচ শুরুর কিছুক্ষণ পর ঘারে গুরুতর চোট পান ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক আদিত্য পাত্র। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জানা যায় আদিত্য ভাল আছেন।