ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : বুধবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সংগ্রহশালা উদ্বোধন করতে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লাল-হলুদ কর্তা,সদস্য-সমর্থকদের ভরসা দিয়ে গেলেন। “আগামী চার-পাঁচ বছর ক্লাবের বিনিয়োগকারী নিয়ে ভাবতে হবে না। যদি সব কিছু ঠিক চলে তাহলে চিন্তার কোনও কিরণ নেই।” বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই মরশুমে ইমামিকে স্পনসর হিসাবে পাওয়ার নেপথ্যের কাহিনীও এদিন মুখ্যমন্ত্রী তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, আমি ইমামির গোয়েঙ্কা সাহেবকে বললাম, আপনাদের তো এত টাকা। আপনারা তো শুধু নিজেদের জন্য রোজগার করেন না। ইস্টবেঙ্গলকে দিন না। গোয়েঙ্কা বলেছিলেন, ‘আপনি বললেই আমি রাজি আছি।’ এরপর আর আপনাদের স্পনসর নিয়ে ভাবতে হবে না। আপনাদের প্রত্যেক বছর এই বন্যা হবে আর ঘর ভাসবে, এই চিন্তা আর করতে হবে না। এখন শুধু ভাবুন ভাল, খেলতে হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে আপনাদের আর বিনিয়োগকারী নিয়ে আর ভাবতে হবে না।” এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, আমি চাই মহামেডানও আইএসএল খেলুক। মাথার উপর কোটিপতির হাত নেই বলে খেলতে পারবে না সেটা তো হতে পারে না।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে এসে ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডানকে ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কদিন আগে মোহনবাগান ক্লাব তাঁবুর উদ্বোধনে গিয়ে সবুজ-মেরুন ক্লাবকে ৫০ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,১৯৯২ সালে যখন কেন্দ্রীয় ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তখন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে মমতাকে সংবর্ধনা জানানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেও নতুন তাঁবুর উদ্বোধনে এসেছিলেন মমতা। ক্লাবের শতবর্ষ অনুষ্ঠানেও হাজির হয়েছিলেন তিনি। ফের এলেন লাল-হলুদ তাঁবুতে। মুখ্যমন্ত্রীকে উত্তরীয় পরিয়ে পুষ্পস্তবক তুলে দেন ক্লাবের প্রাক্তন ফুটবলার বিকাশ পাঁজি। পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীর তরফে প্রয়াত দুই ফুটবলার সুভাষ ভৌমিক এবং সুরজিৎ সেনগুপ্তের পরিবারের হাতে ছবি তুলে দেওয়া হয়।
বুধবার উদ্বোধন হল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সুরেশ চন্দ্র চৌধুরীর নামাঙ্কিত নয়া সংগ্রহশালা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাত ধরে এদিন পথচলা শুরু হল এই সংগ্রহশালার। বুধবার বিকেল চারটে নাগাদ ক্লাবে এসে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। ক্লাবের পতাকা তুলে সোজা সংগ্রহশালার উদ্বোধন করতে চলে যান তিনি। এরপর ঘুরে দেখেন সংগ্রহশালা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম,রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সুজিত বসু ও রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি।
এদিন ইস্টবেঙ্গল ক্লাব থেকেই ঘোষণা করেন রাজ্যে তৈরি হবে ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়। ইতিমধ্যে চুঁচুড়াতে টেকনো গ্রুপ বেসরকারি ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুরু করেছে। এবার সরকারি ভাবেও ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় শুরু করার ভাবনা রাজ্য সরকারের।