ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : গড়ের মাঠের সবার পরিচিত, অভিজ্ঞ ফুটবল প্রশাসক বাট্টুস ওরফে স্বপন চক্রবর্তী চলে গেলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের বাড়িতে সাতটা নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় স্বপন চক্রবর্তীর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল 79 বছর। তাঁর পোষাকী নাম স্বপন চক্রবর্তী হলেও খেলার মাঠের জগতে তিনি পরিচিত ছিলেন ‘বাট্টুসদা’ নামেই। তাঁর প্রয়ানে কলকাতা গড়ের মাঠে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া।
‘বাট্টুসদা’ মানেই হাওড়ার সহযাত্রী, সুদীপ চ্যাটার্জি, প্রদীপ, ত্রিদিব তালুকদার সহ এক ঝাঁক প্রতিষ্ঠিত ফুটবলারের কথা আসবে অনায়াসে। ‘বাট্টুসদা, মানেই শতাব্দী প্রাচীন হাওড়া ইউনিয়ন। একটা সময় তিনি ছিলেন কোচ, রিক্রুটার, কর্তা। হাওড়ার সহযাত্রীর প্রাণ পুরুষ ছিলেন সবার প্রিয় ‘বাট্টুসদা।’ মূলত তাঁর হাত ধরেই উঠে এসেছিলেন ভারতের অন্যতম ইউটিলিটি ফুটবলার সুদীপ চ্যাটার্জি।তাঁর হাত ধরেই প্রদীপ, ত্রিদিব তালুকদার সহ বহু ফুটবলার গড়ের মাঠে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। ‘বাট্টুসদা’ হাওড়া ইউনিয়নের ফুটবল টিমটা দেখতেন।
বাট্টুসবাবুর ঘনিষ্ঠ ও গড়ের মাঠের কর্তা রবীন ঘোষ ‘ইনসাইড স্পোর্টস’কে বলছিলেন,”আজ আমাদের ম্যাচের শেষে সন্ধ্যা ছটার সময় বাট্টুসদার সঙ্গে ফোনে কথা হল। স্বাভাবিক কথা বললেন। ম্যাচের রেজাল্ট নিয়ে কথা হল। এক ঘন্টার পর শুনছলাম বাট্টুসদা নেই। ভাবতেই পারছি না। এই বয়সেও সক্রিয়ভাবে মাঠ করতেন। সবার প্রিয় ছিলেন। আমাদের হাওড়া জেলা ফুটবলের স্বর্ণযুগের অন্যতম কর্তা ছিলেন। তাঁর হাত ধরে বহু ফুটবলার উঠে এসেছে। একটা সময় হাওড়া অর্থাৎ বাট্টুসদাই ছিলেন গড়ের মাঠে সাপ্লাই লাইন। একে একে সবাই চলে যাচ্ছে।”