◆জয়ের পর অধিনায়ক মনোজের সঙ্গে কোচ লক্ষ্মী। শুক্রবার ইডেনে◆
◆উত্তরপ্রদেশ – (১৯৮ ও ২২৭)
◆বাংলা – (১৫৬ ও ২৫৯/৪)
◆বাংলা ৬ উইকেটে জয়ী
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,১৬ ডিসেম্বর : গতকালই বিপর্যয় কাটিয়ে চমৎকার ভাবে ম্যাচে ফিরে এসেছিল লক্ষ্মী বাহিনী। জয়ের মঞ্চটা গতকালই তৈরি করে দিয়েছিলেন দুই ব্যাটার কৌশিক ঘোষ ও অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ মজুমদার। আর আজ লাঞ্চের আগেই জয় ছিনিয়ে নিল বাংলা। এই মরসুমের রনজি ট্রফির প্রথম ম্যাচে উত্তরপ্রদেশকে ৬ উইকেটে হারিয়ে চমৎকার শুরু করল বাংলা।
বাংলাকে জিততে হলে আজ ১০১ রান করতে হত। গতকাল অপরাজিত কৌশিক ও অনুষ্টুপ আজ ব্যাট করতে নেমে এদিন কোনও রান না করেই আউট হয়ে যান কৌশিক (৬৯)। অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি এসে অনুষ্টপকে যোগ্য সঙ্গ দেন। জয়ে খুব কাছে এসে অনুষ্টুপ ৮৩ রানে আউট হন। মনোজ করেন অপরাজিত ৬০ রান। ২ রানে অপরাজিত থাকেন শাহবাজ আহমেদ। ৭৪.৫ ওভারে জয়ের প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় বাংলা।
বাংলার অধিনায়ক ছিলেন অভিমন্যু ইশ্বরণ। তিনি ভারতীয় দলে ডাক পাওয়ায় অধিনায়কত্ব করছেন মনোজ তিওয়ারি। এদিনের জয়ে পিছনে মনোজের মূল্যবান অপরাজিত ৬০ রান আছে। তিনি ম্যাচ শেষে বলছিলেন,”আমার ইচ্ছে আছে বাংলাকে এবার চ্যাম্পিয়ন করে অবসর নেওয়া। সেই লক্ষ্যেই খেলছি।” এই ম্যাচ থেকে বাংলা দলের প্রাপ্তি কি? উত্তরে মনোজ বলেন,”ইশান পোড়েলের কাম ব্যাকটাই দলের সেরা প্রাপ্তি। সবাই ভাল খেলেছে। তবে ইশানের কাম ব্যাক করাটা দলের ভাল।”
বাংলা দলের কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা খুশি। ম্যাচের প্রথম দিন তো বাংলার হাত থেকে ম্যাচ প্রায় বেড়িয়ে গিয়েছিল। সেই দিন আপনি বলেছিলেন, দলের ক্রিকেটারদের উপর ভরসা রাখুন। কিসের ভিত্তিতে বলেছিলেন? উত্তরে কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা বলেন,”দেখুন, দলের ক্রিকেটারদের উপর আপনাকে বিশ্বাস রাখতে হবে। আমি জানি ওরা ভাল খেলবে। ওদের ইতিবাচক মনোভাব আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রথম ইনিংসে আমাদের ব্যাটসম্যানরা প্রত্যাশামত খেলতে পারেনি। এটা তো হতেই পারে। কিন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে খুব ভাল খেলেছে। দলকে ৬ পয়েন্ট এনে দিল। এই পরের ম্যাচে আরও আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামবে বাংলা।”
দুই ইনিংস মিলিয়ে ৭ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন ইশান পোড়েল। বাংলার পরবর্তী ম্যাচ ইডেনে, আগামী ২০ ডিসেম্বর। প্রতিপক্ষ হিমাচল প্রদেশ।