ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদেন : চার বছর পর ঘরের মাঠে নেমেই বড় ব্যবধানে জিতল ইস্টবেঙ্গল। আজ,বৃহস্পতিবার নিজেদের মাঠে দুর্বল ইস্টার্ন রেলকে ৫-১ গোলে হারাল ইস্টবেঙ্গল।
চার বছর পর নিজেদের মাঠে খেলা হচ্ছে বলে অনেকেই ভেবেছিলেন মহমেডান,মোহনবাগানের মতো প্রচুর দর্শক হবে। কিন্তু সেই ভাবে গ্যালারি ভরল না। তবে যারা এসেছিলেন তাঁরা লাল-হলুদ আবির,ফেস্টুন সঙ্গে সারাক্ষণ গান গেয়ে মাঠ মাতালেন।
এদিন,দুর্বল ইস্টার্ন রেলের বিরুদ্ধে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ২০ মিনিটে ইস্টার্ন রেলের বক্সের বাইরে একটি ফ্রিকিক ক্রসবারে লেগে ফিরতি বলে শট নিয়ে গোল করেন অভিষেক কুনজাম। ৩১ মিনিটে গোল করে ব্যবধান বাড়ান গুইতে ভানলালপেকা। দ্বিতীয় গোলের ঠিক পাঁচ মিনিট পর আমন সিকে গোল করেন।
দ্বিতীয়ার্ধেও ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ অব্যহত ছিল। একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ট না করলে আজ ইস্টবেঙ্গল অন্তত সাত থেকে আট গোলে জিততে পারত। গতির বিরুদ্ধে গিয়ে রেলের দীব্যেন্দু চন্দ গোল করে ব্যবধান কমান। একটা গোল হজম করার পর ফের আমন ও রাজিবুল মিস্ত্রি গোল করেন।
এদিকে পাঁচ গোল খাওয়ার পর ম্যাচ শেষ হওয়ার পর ইস্টার্ন রেলের কোচের পদ থেকে পদত্যাগ করেন কোচ প্রশান্ত চক্রবর্তী। তবে কোচের পদ থেকে পদত্যাগ না অপসারণ সেটা স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এবারের লিগে হতাশাজনক পারফরমেন্স রেলের। পাঁচটি ম্যাচ খেলে চারটিতে হার,একটিতে ড্র। কোচ প্রশান্তকে ঘিরে ইস্টার্ন রেল শিবিরে চাপা অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছিল।
এদিকে,আজ প্রিমিয়ার ডিভিশনের খেলায় ভবানীপুর ৩-১ গোলে হারাল হারাল উয়াড়ীকে। তবে ম্যাচ শেষে উয়াড়ীর ফুটবল সচিব ইন্দ্রনাথ পাল রেফারির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর দাবি “রেফারি ন্যায্য পেনাল্টি দিল না। এই ভাবে একটা দলকে টেনে খেলালে ম্যাচ জেতা সম্ভব নয়। মাঠ থেকেই আমি রেফারি সংস্থার সচিব উদয়ন হালদারকে আমি ফোন করেছিলাম। কিন্তু মিটিয়ে ব্যস্ত বলে আর কথা বললেন না। এত নিম্নমানের রেফারি দিয়ে ভাল ফুটবল হয় না।” এদিকে ক্যালকাটা কাস্টমস ২-০ গোলে হারায় বিএসএসকে।