◆জয়ের পর ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা। বৃহস্পতিবার নৈহাটিতে◆
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : কিশোর ভারতীতে লিগের প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমে হতাশাজনক খেলার পর শুরুতেই গুটিয়ে গিয়েছিল লাল-হলুদ শিবির। সদস্য-সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিলেন। এটাই স্বাভাবিক। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব এবং আইএফএ সূত্র থেকেই জানা গিয়েছিল ১২ জুলাইয়ের পর নিজেদের মাঠেই ম্যাচ খেলবে ইস্টবেঙ্গল। আসলে তা হয়নি। ১৭ ও ২০ জুলাই দুটিম্যাচই চলে যায় নৈহাটিতে। আর সেই দুটি ম্যাচ খেলে জয়ে ফিরেছে। ইস্টবেঙ্গল আপাতত স্বস্তিতে। এবার তিন বছর পর ঘরের মাঠে খেলতে নামবে আগামী ২৪ জুলাই। প্রতিপক্ষ বিএসএস স্পোর্টিং। পরপর দুই ম্যাচে জয়ের ফলে আগামী সোমবার আত্মবিশ্বাস নিয়েই নিজেদের গ্যালারি ভর্তি স্টেডিয়ামে নামবে ইস্টবেঙ্গল।
বৃহস্পতিবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে খিদিরপুর স্পোর্টিং ক্লাবকে অনায়াসে হারাল ইস্টবেঙ্গল। জিতল ২-০ গোলে। তবে এই ম্যাচে দলে চোট,আঘাত থাকায় তিন সিনিয়র ফুটবলারকে নামাতে বাধ্য হয়েছিলেন কোচ বিনু জর্জ। সৌভিক চক্রবতী, গুরসিমরত গিল এবং তুহিন দাস – এই তিন সিনিয়র মাঠে নামতেই অপেক্ষাকৃত ঝলমলে ইস্টবেঙ্গল। এই তিন সিনিয়রের মধ্যে তুহিন দুরন্ত গোল করে (৩৩ মিনিট) দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। আর এক সিনিয়র সৌভিক চক্রবর্তী দীর্ঘদিন পর কলকতা লিগের ম্যাচ খেলতে নেমেই ম্যাচের সেরা হয়ে বুঝিয়ে দিলেন তিনি তৈরি।
প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ নষ্ট করেছে। ১-০ গোলে এগিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে কিন্তু ম্যাচের দখল সেই ভাবে ধরে রাখতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। তীর্থঙ্কর সরকারকে নামানোর পর ধীরে ধীরে ম্যাচের দখল নিতে থাকে খিদিরপুর। তীর্থঙ্করের সেন্টার, কর্ণার এবং ডিফেন্স চেরা পাসে ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্স তখন চাপে পড়ে যায়। খিদিরপুর প্রতিপক্ষকে চাপেরাখলেও গোল করতে পারেনি। ম্যাচের শেষ দিকে পরিবর্ত ফুটবলার শ্যামল বেসরা গোল করে জয় নিশ্চিত করেন।
এদিন, অপর দুই প্রিমিয়ারের খেলায় রেনবো ১-০ গোলে হারায় পুলিশ এসিকে। বিএসএস ও ওয়েস্টবেঙ্গল পুলিশ ম্যাচ ১-১ গোলে শেষ হয়।