এসসি ইস্টবেঙ্গল– ১ (কোনে–আত্মঘাতী গোল)
কেরালা ব্লাস্টার্স–১(জিকসন)
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : এসসি ইস্টবেঙ্গলের খেলায় অবশেষে শ্রী ফিরল। তবে জয় এল না। রবিবার আইএসএলের ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টারের বিরুদ্ধে এগিয়ে থেকেও ড্র করে এক পয়েন্ট নিয়ে ঘরে ফিরতে হল ইস্টবেঙ্গলকে
আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে থেকেও ফের ড্র করল এসসি ইস্টবেঙ্গল। জ্যাকসন সিংয়ের হেড ইস্টবেঙ্গলের জয়ের আশা শেষ করে দিল।
দু’দলই চলতি আইএসএলে জয়ের মুখ দেখেনি । ১৩ মিনিটে আত্মঘাতী গোলের হাত ধরে জয়ের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিল লাল হলুদ ব্রিগেড । কিন্তু জ্যাকসন সিংয়ের হেড সেই আশায় জল ঢেলে দিল ।”ফাইট অফ লাস্ট বেঞ্চারস” ফলে মাঝমাঠের দখল নেওয়ার মরিয়া চেষ্টা যেমন ছিল তেমনই গোল লক্ষ্য করে শট নেওয়ার চেষ্টাও ছিল । ইস্টবেঙ্গলকে জয়ের রাস্তায় ফেরাতে রবি ফাওলার আক্রমণের দায়িত্ব দিয়েছিলেন মাঘোমা এবং পিলকিংটনকে । দলের প্রকৃত স্ট্রাইকারের অভাব ঢাকতে এটাই সেরা কৌশল।
প্রথম থেকেই ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নিয়ে নিয়েছিলেন লাল–হলুদ খেলোয়াড়রা। আর তারই পরিণতি ম্যাচের কাঙ্খিত গোলটি পেয়ে যায়। রফিকের মাইনাস বাঁচাতে গিয়ে নিজেদের গোলেই বলটি ঠেলে দেন কেরালা ব্লাস্টার্সের ডিফেন্ডার কোনে। এরপর প্রথমার্ধ জুড়ে বারেবারেই ঝাঁঝালো আক্রমণ তুলে আনতে থাকেন স্টেইনম্যান–রফিকরা। কিন্তু একের পর এক গোলের সুযোগ নষ্ট করতে থাকেন লাল–হলুদ খেলোয়াড়রা। পাশাপাশি দুর্ভেদ্য হয়ে ওঠেন অ্যালবিন।
দ্বিতীয়ার্ধের চিত্রটাও ছিল প্রায় একইরকম। তবে গত কয়েকটি ম্যাচের মতোই এদিনও পরের অর্ধে বেশ কিছু ভুলভ্রান্তি করতে থাকে লাল–হলুদ রক্ষণ। দেবজিৎ যদি আবারও সেভজিৎ না হয়ে উঠতে পারতেন তাহলে অনেকেই আগেই গোলশোধ করে দিতে পারতেন কিবুর ছেলেরা। শেষপর্যন্ত লাল–হলুদ সমর্থকরা যখন প্রথমবার আইএসএলে তিন পয়েন্ট পাবেন ধরেই নিয়েছিলেন, তখনই স্বপ্নভঙ্গ। একেবারে অন্তিম মুহূর্তে গোল করে কেরালাকে সমতায় ফেরান জিকসন। অবশ্য এই অর্ধেও বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন মাঘোমারা।