◆হাওড়া ইউনিয়নের জোড়া গোলদাতা সুজাউদ্দিন মোল্লার সঙ্গে কর্তা রবীন ঘোষ ও কোচ অপূর্ব ব্যানার্জি। রবিবার মহমেডান মাঠে◆
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদেন : আসিয়ান কাপ খেলতে যাওয়ার আগে নিজের তারকা সমৃদ্ধ দল নিয়ে সুভাষ ভৌমিক সাংবাদিকদের বলেছিলেন,”এই মুহূর্তে আমাদের টিম ভারত সেরা। তবে ট্রফি জিততে গেলে ভাল দল করলেই হবে না। দরকার লাক ফ্যাক্টর,চান্স ফ্যাক্টর। সেটা না থাকলে ট্রফি জেতা মুস্কিল।” এদিন মহমেডান মাঠে কলকাতা লিগের প্রথম ডিভিশনের ম্যাচে হাওড়া ইউনিয়নের বিরুদ্ধে শ্রীভূমি ফুটবল ক্লাবের খেলা দেখে প্রয়াত কোচ সুভাষ ভৌমিকের কথা মনে পড়ছিল বারবার। শ্রীভূমি ফুটবল ক্লাব এবছর ভাল দল করেছে। ফুটবলারদের গড় উচ্চতা বেশ ভাল। প্রতিটা ম্যাচেই ভাল খেলছে। কিন্তু জয় আসছে না। এদিনও হাওড়া ইউনিয়নের বিরুদ্ধে শ্রীভূমির লাক ফ্যাক্টর,চান্স ফ্যাক্টর কাজ করেনি। যার ফলে হাওড়া ইউনিয়নের কাছে ২-১ গোলে হেরে মাঠ ছাড়তে হল শ্রীভূমি ফুটবল ক্লাবকে। এখনও পযর্ন্ত তিন ম্যাচ খেলে তিন পয়েন্টে দাঁড়িয়ে বেশ বেকায়দায় শ্রীভূমি ফুটবল ক্লাব।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট নিয়ে খেলা শুরু করে শ্রীভূমি। কিন্তু প্রথমার্ধের ৩২ মিনিটে গোলকিপারের ভুলে গোল খেয়ে ডুবতে হল শ্রীভূমিকে। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে বিপক্ষের ফুটবলার সুজাউদ্দিনের পায়ে বলটা জমা দিলেন শ্রীভূমির ফুটবলার। গোল করতে ভুল করেননি সুজাউদ্দিন।
এই গোলটা খাওয়ার পর কিছুটা গুটিয়ে গিয়েছিল শ্রীভূমির ফুটবলাররা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে সারাক্ষণ হাওড়াকে চাপে রেখে খেলে গেলেও জিততে পারল না শ্রীভূমি।
গতির বিরুদ্ধে লম্বা পাস ধরে ঠান্ডা মাথায় গোল করে হাওড়াকে এগিয়ে দিলেন সেই সুজাউদ্দিন। ০-২ গোলে পিছিয়ে থাকা শ্রীভূমি আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠল। সেই আক্রমণ থেকেই সুরেশ সোরেন গোলও করেন। কিন্তু শেষ পযর্ন্ত আর গোলের মুখ খুলতে পারেনি শ্রীভূমি। পাশাপাশি ট্যাকটিক্যাল ফুটবল খেলে তিন পয়েন্ট নিয়ে ঘরে ফিরল শতাব্দী প্রাচীন হাওড়া ইউনিয়ন। স্বাভাবিক ভাবেই খুশির হাওড়া শিবিরে। অন্যদিকে হতাশ শ্রীভূমি ফুটবল ক্লাবের সচিব রাকেশ ঝাঁ (মুন)।
এদিন, প্রথম ডিভিশনের অন্য ম্যাচে ক্যালকাটা পুলিশকে ৪-২ গোলে হারায় সুবার্বান ক্লাব। সিটি এসি ও বড়িশা ১-১ গোলে ম্যাচ শেষ হয়েছে।