ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,৪ অগাস্ট, বাঁকুড়া (রানীবাঁধ) : বাংলার খেলাধূলার জগতে জেলা হল আসল জায়গা। ছোট ছোট গ্রামে ফুটবল ছাড়াও অন্য খেলাতেও অযত্নে পড়ে আছে বহু প্রতিভা। এবার সেই প্রতিভা গুলিকে তুলে আনার দিকে নজর দিতে চলেছেন বিওএ (বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন) সভাপতি স্বপন (বাবুন) ব্যানার্জি।
গত কয়েক মাস ধরে “ইনসাইড স্পোর্টস” বিভিন্ন জেলার গ্রামে গিয়ে ফুটবল প্রতিভা খোঁজার চেষ্টা করছে। সেই প্রতিবেদন আমরা তুলে ধরছি। সদর্থক মনোভাব নিয়ে পুরুলিয়ায় গিয়ে সেই জেলার ফুটবলারদের নিয়ে বিশেষ ট্রায়াল নিয়ে এসেছে কলকাতা প্রিমিয়ার এ গ্রুপের জর্জ টেলিগ্রাফ স্পোর্টস ক্লাব। জর্জের হাত ধরে গ্রামের কিছু ফুটবলার কলকাতা ফুটবল লিগে খেলার সুযোগ পাচ্ছে।
খেলোয়াড়দের টানে এবার জঙ্গল মহলে ছুটলেন বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি স্বপন ব্যানার্জি। তবে তিনি শুধু ফুটবলেই আটকে থাকতে চান না। তিনি বিওএ-র সভাপতি হিসেবে সব খেলাকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে নতুন পরিকল্পনা করতে চলেছেন। প্রসঙ্গত, স্বপন ব্যানার্জি প্রথম বিওএ -এর সভাপতি যিনি জেলায় গিয়ে খেলোয়াড়দের কাছে গিয়ে পাশে দাঁড়াতে চাইছেন।
মঙ্গলবার রাতেই পৌঁছে গিয়েছিলেন বাঁকুড়ার রানীবাঁধ
জঙ্গলের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায়। আজ,এলাকায় বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্প খেলোয়াড়দের জার্সি ও ফুটবল তুলে দেন স্বপনবাবু।
“বাংলার খেলায় সাপ্লাই লাইন হল জেলা। আমি বিওএ-এর সভাপতি হওয়ার পর প্যান্ডামিক সিচুয়েশন কাটেনি। প্রায় একটা বছর নষ্ট হয়ে গেল। জেলার খেলোয়াড়দের নিয়ে আমার বিশেষ পরিকল্পনা আছে। জেলার খেলাকে সঠিকভাবে তুলে আনতে না পারলে বাংলার খেলায় সাফল্য আসবে না। অনেক সমস্যা আছে। কিন্তু সবাই মিলে মিশে কাজ করলে সমস্যার সমাধান হবে। আমরা খেলোয়াড় তুলে আনতে পারব। রাজ্য সরকার জেলার খেলাকেও গুরুত্ব দিচ্ছে। তৈরি হয়েছে সারা ভারত তৃণমূল ক্রীড়া শাখা। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।” “ইনসাইড স্পোর্টস”-কে কথাগুলি বলছিলেন স্বপন ব্যানার্জি।
প্রসঙ্গত, সদ্য গঠিত সারা ভারত তৃণমূল ক্রীড়া শাখার চেয়ারম্যান হলেন স্বপন ব্যানার্জি। এই ক্রীড়া সেলে আছেন মানস ভট্টাচার্য,বিদেশ বসু,দেবজিৎ ঘোষ, মেহেতাব হোসেন, কুন্তলা ঘোষদস্তিদার, প্রেমজিৎ সেন সহ এক ঝাঁক প্রাক্তন খেলোয়াড়। জেলার খেলার উন্নয়ন নিয়ে বিওএ এবং রাজ্য তৃণমূল ক্রীড়া শাখা বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে চাইছে।
রানীবাঁধের আদিবাসী মহিলা ফুটবলারদের সঙ্গে ফুটবল, জার্সি দিয়ে দীর্ঘক্ষন সময় কাটালেন স্বপন ব্যানার্জি। স্থানীয় নেতৃত্বের কাছে এলাকার খেলাধূলার যাবতীয় তথ্য নিয়েছেন। কলকাতা থেকে এসে জেলার খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়ানোর জন্য খুবই খুশি হয়েছেন রাজ্য সরকারের খাদ্য দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি। তিনি জানান,”আমাদের এই পিছিয়ে পড়া এলাকায় যেভাবে স্বপন বাবু ছুটে এসেছেন তার জন্য তাঁকে সাধুবাদ জানাই। এখানে ফুটবলার,কবাডি,তিরন্দাজ, অ্যাথলেটিক্সে অনেক প্রতিভা আছে। তাঁদের খুজতেই স্বপন বাবু এসেছেন। এভাবে একটু নজর দিলে এই এলাকার ছেলে-মেয়েরা এগিয়ে যেতে পারবে।”
এদিন ছোট্ট অনুষ্ঠানে স্বপন ব্যানার্জি, জ্যোৎস্না মান্ডি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রায়পুর বিধানসভার বিধায়ক মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু ও ফরেস্ট আধিকারিক সিঙ্গারাম কুলান্ডাইভেল।