ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,২৪ ফেব্রুয়ারি : জল্পনাটা গত কয়েক দিন ধরেই চলছিল। বুধবার হুগলির সাহাগঞ্জর মাঠে মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে হাত রেখে সরকারি ভাবে তৃণমূলে যোগ দিলেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি। মনোজের পরেই বিজেপিতে যোগ দিলেন সদ্য অবসর নেওয়া ক্রিকেটার অশোক দিন্দা। একই দিনে তৃণমূলে যোগ দিলেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলার সৌমিক দে।
২০১৯ সালে দলে যোগ দেওয়ার জন্য মনোজকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন রাজনীতিতে আসতে চাননি মনোজ। এবারও ফের প্রস্তাব আসলে আর না করেননি বাংলা রঞ্জি দলের অধিনায়ক মনোজ।
তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর মনোজ তিওয়ারি জানিয়েছেন,”আমার হাঁটুর অবস্থা ভাল নয়। যে কারণে বিজয় হাজারে ট্রফি খেলতে পারিনি। গত বছর ক্রিকেট হয়নি। এই বছরও হল না। আমি এখন ক্রিকেট নিয়ে ভাবছি না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় রাজনীতিতে এলাম। ক্রিকেটের মতোই রাজনৈতিক জীবনেও লড়াই করতে পারবো।”
মনোজ তিওয়ারির এখন বয়স ৩৫ বছর। ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আইপিএলের ডাক পাচ্ছেন না। শুধু বাংলা দলের হয়ে রঞ্জি খেলতে নিজেকে উৎসাহিত করতে পারছেন না মনোজ। তাই ক্রিকেটকে কার্যত বাইরেই রেখে দিলেন মনোজ তিওয়ারি।
মনোজ তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর ভারতের দুই প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য ও বিদেশ বসুও সরকারি ভাবে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। রহিম নবি তৃণমূলের হয়ে গত বিধান সভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু জিততে পারেনিনি। পাশাপাশি আর এক ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস বসিরহাটে জিতেছিলেন। শোনা যাচ্ছে রহিম নবি আবার নির্বাচনের টিকিট পেতে চলেছেন।
ক্রীড়া জগতের বহু ব্যক্তিত্ব এখন রাজনীতির জগতে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তবে এঁরা কেউ কাস্তে-হাতুড়ি বা হাত ধরতে নারাজ। এঁরা সবাই ফুলের ঘ্রাণ চায়। সে জোড়া ফুল হতে পারে, পদ্ম ফুল হতে পারে। ফুল হতে হবে।