ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন :বাংলা দলের কোচের পদ থেকৃ তিনি সরে না দাঁড়ালে খুব শীঘ্রই সরিয়ে দেওয়া হত। আর সেটা আন্দাজ করতে পেরেই মঙ্গলবার ইডেনে গিয়ে নিজের সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়ে এসেছেন অরুণ লাল।
এদিন ইডেন গেলেও অভিষেক ডালমিয়া না থাকায় সচিব স্নেহাশিস গাঙ্গুলির সঙ্গে দেখা করে বাংলা দলের কোচের পদ থেকে ইস্তফার কথা বলে এসেছেন। সিএবি সূত্রের খবর, অরুণ লালের ইস্থফার ব্যাপারটা কর্তারা মেনেও নিয়েছে।
অরুণ লাল বলেছেন, তার পরিবারকে সময় দিতে হবে বলেই বাংলা ক্রিকেট দলের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। তবে বাংলা দলকে তিনি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলাকে ২০২০ সালে রঞ্জি ফাইনাল এবং এ বার সেমিফাইনালে তোলার পর দায়িত্ব ছাড়লেন অরুণ লাল।
আপাতত পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো উপভোগ করছেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি রঞ্জি মরসুমে বাংলা দলের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ার পর থেকেই সমালোচনার ঝড় বইতে থাকে। কোচের সঠিক পরিকল্পনার অভাব নিয়ে কথা ওঠে। দলের ক্রিকেটারদের সেই ভাবে সময় দিতেন না। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ইউটিউব চালিয়ে দলের ক্রিকেটারদের ক্লাস নিতেন। টিম মিটিংয়ে আগের মতো অরুণ লালকে সক্রিয়ভাবে পাওয়া যেত না। ব্যাপারটা এতটাই বেশি হয়েছিল সপ্তাহখানেক আগে অভিমন্যু ঈশ্বরনদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল সিএবির কর্তরা। সেই মিটিংয়ে ক্রিকেটাররা কোচ অরুণ লালের সঙ্গে তাঁদের সমস্যার কথা জানান।