ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : এবারের ডুরান্ড কাপের আসর থেকে যখন ইমামি ইস্টবেঙ্গল,এটিকে মোহনবাগান বিদায় নিয়েছে তখন বাংলার বড় ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে শতাব্দী প্রাচীন মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব। গত দুই বছর থেকে এই ক্লাবের কর্তা থেকে টিম ম্যানেজমেন্ট,সাপোর্ট স্টাফ – সবাই যেন বদলে গিয়েছেন। পুরনো মহমেডানের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে তাঁরা যেন বদ্ধপরিকর। মহমেডান মানেই এখন একটা টিম গেম। তার ফলও হাতে নাতে পাচ্ছেন।
আজ,শুক্রবার যুবভারতী স্টেডিয়ামে কোয়ার্টার ফাইনালে কেরল ব্লাস্টার্সকে হেলায় ৩-০ গোলে হারিয়ে ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল মহমেডান স্পোর্টিং। কেরল এবার ভারতীয় ফুটবলার নিয়ে ডুরান্ড খেলতে এলেও তাদের গতি, লড়াই করার অদম্য সাহস প্রশংসনীয়। তা সত্বেও এদিন মহমেডান ম্যাচের প্রথম থেকেই ছিল আক্রমণাত্মক। দাপুটে। সদ্য নাইজেরিয়া থেকে আসা আবিওয়ালা দাউদা সাদা-কালো সমর্থকদের মন জয় করে নিলেন। মাঠে নেমেই দাউদার জোড়া গোল। যে কোনও ফুটবলারের প্রতিষ্ঠা পেতে ধারাবাহিকতার প্রয়োজন। তবুও বলতে হয় প্রথম ম্যাচেই নায়ক হয়েই মাঠ ছাড়লে দাউদা। ধারাবাহিকতা দেখাতে পারলে এই মরসুমে দাউদা মহমেডানের সম্পদ হয়ে উঠতে পারেন।
এদিন ম্যাচের ১৭ মিনিটের মাথায় অধিনায়ক মার্কাস জোসেফের ক্রশ থেকে গোল করে মহমেডানকে এগিয়ে দেন দুরন্ত ফর্মে থাকা সেখ ফৈয়াজ। গোলটা হজম করার পর কেরলের ফুটবলাররা কিছুক্ষন চাপ তৈরি করেছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে মহমেডান মুহুর্মুহ আক্রমণ করতে থাকে। মহমেডান কোচ দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামান আবিওয়ালা দাউদাকে। তারপর থেকে আক্রমণ আরও বেড়ে যায়। ৫৯ মিনিটে ফৈয়াজের পাস থেকে দলের দ্বিতীয় এবং নিজের প্রথম গোলটি করেন দাউদা। ম্যাচ শেষ হওয়ার ৬ মিনিট আগে আবার দাউদা গোল করেন।
গত বছর ডুরান্ডের ফাইনালে গোয়া এফসির কাছে হেরে রানার্স হয়েছিল মহমেডান। সাদা-কালো জার্সিধারীদের সামনে ফের ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হাতছানি। বাংলার হয়ে এখন মহমেডানই ভরসা।