◆আইসিসি প্রতিনিধি দলের এক সদস্যর সঙ্গে সিএবি সভাপতি স্নেহশিস গাঙ্গুলি ও কোষাধ্যক্ষ প্রবীর চক্রবর্তী। শনিবার ইডেনে◆
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : আগামী ১২ নভেম্বর,কলীপুজো। আর ওই দিনেই পড়েছে বিশ্বকাপের পাকিস্তান – ইংল্যান্ড ম্যাচ। কিন্তু কালীপুজো বলেই ওই দিন পুলিশ দিয়ে ম্যাচ করানো সম্ভব নয় বলে আপত্তি জানিয়েছে কলকাতা লালবাজার পুলিশ। আর তারপর থেকেই বেকায়দায় সিএবি কর্তারা।
আজ,শনিবার ইডেন পরিদর্শনে এসেছিলেন আইসিসি ও বিসিসিআইয়ের প্রতিনিধি দল। আসন্ন ক্রিকেট বিশ্বকাপে ইডেনের ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতে এই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এদিন ইডেন ঘুরে দেখলেন। প্রাথমিকভাবে সিএবি কর্তাদের কাজে খুশিই হয়েছেন আইসিসির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তবে সমস্যাটা দাঁড়িয়েছে কালীপুজোর দিন পাকিস্তান-ইংল্যান্ড ম্যাচকে ঘিরে।
সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গাঙ্গুলি অবশ্য জানান,কালীপুজোর দিনের ম্যাচ নিয়ে এখনও সরকারিভাবে সিএবিকে আপত্তির কথা জানায়নি লালবাজার। নিরাপত্তার ব্যাপারটা পুরোটাটাই কলকাতা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু সূত্রের খবর, লালবাজার কালীপুজোর দিনে ম্যাচ করতে চায়ছে না। করে কারণ ওই দিন গোটা শহর জুড়ে বহু কালীপুজো এবং নানান অনুষ্ঠানে পুলিশ মোতায়েন রাখতে হবে। একাধিক সমস্যা আছে। এই অবস্থায় পুলিশের সঙ্গেও আলোচনা করবে সিএবি কর্তারা। পাশাপাশি ১২ নভেম্বর অর্থাৎ কালীপুজোর দিনে পাকিস্তান – ইংল্যান্ড ম্যাচ অন্যদিন করার জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে আবেদনও নাকি করেছে সিএবি। এই ব্যাপারে এখনও বোর্ডের পক্ষ থেকে কিছুই জনানো হয়নি।
তবে আশার কথা হল, বিশ্বকাপের কয়েকটা ম্যাচের দিন পরিবর্তন করা হবে। আগামী সপ্তাহেই রিভাইজ ফিক্সচার প্রকাশ হওয়ার কথা। যেমন,আমেদাবাদে ১৫ অক্টোবরে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আছে। সেই দিন আবার নবরাত্রি উৎসব আছে। গুজরাতে এই নবরাত্রি উৎসব বড় করে পালন করা হয়। সেক্ষেত্রে ওই দিন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ না করে আগে বা পরে করতে চায়ছেন বিসিসিআই কর্তারাও। সব কিছু জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েকটা দিন।
এদিকে, সিএবির নতুন করে ইডেনের ক্লাব হাউস, কনফারেন্স রুম-সহ একাধিক জায়গায় আমূল পরিবর্তন করছে। নতুন স্কোর বোর্ড বসছে। ঢেলে সাজানো হচ্ছে ইডেনের কর্পোরেট বক্স ও সৌচালয়। ৬৫ হাজার দর্শক ইডেনে বিশ্বকাপে খেলা দেখতে পারবেন ৷ খেলোয়াড়দের ড্রেসিংরুমেও বেশ কিছু পরিবর্তন করা হচ্ছে ৷ আরও বেশি ক্রিকেটার ফ্রেন্ডলি এবং অত্যাধুনিক করা হচ্ছে ড্রেসিংরুম ৷ স্নেহাশিস জানিয়েছেন, আইপিএলের সময় সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল।
কাজ চলছে। সব মিলিয়ে পরিকাঠামোগত সংস্কারে খুশি বিসিসিআই ও আইসিসি ৷