কাদা মাঠে ফুটবল! মাঠ ঠিক করার সুযোগ নেই

0

ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : কাদা মাঠে ফুটবল, গড়ের মাঠে নতুন বিষয় নয়। প্রবল বৃষ্টি, বানের জল বা থকথকে কাদার জন‍্য ম‍্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার ঘটনা প্রতি বছরেই হয়ে থাকে। যেহেতু কলকাতা লিগটার বেশি সময় যায় বর্ষাতে,তাই এমন ঘটনার সঙ্গে অতি পরিচিত ক্লাব কর্তা থেকে ফুটবলাররা। তবুও আইএফএকে সদা সতর্ক থাকতেই হচ্ছে।

শনিবার কলকাতা লিগের ৯ টি ম‍্যাচ হয়েছে কাদা মাঠেই। শুক্রবারের মতো শনিবারও বৃষ্টি হলেও এদিন কোনও ম‍্যাচ পরিত্যক্ত হয়নি। তবে দুটি সমস‍্যা তৈরি হয়েছে। প্রথমত, এবার লিগটাই শুরু হয়েছে ভরা বর্ষায়। মে মাসের শেষে লিগ শুরু হলে নিচের ডিভিশনের খেলাগুলি অনেকটা শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। সেটা হয়নি। গত তিন মাস আগে আইএফএ-এর প্রশাসনিক সমস‍্যা তৈরি হওয়ায় প্রায় ৩৫ দিন পর লিগ শুরু হয়েছে। তাই বর্ষাতেই নির্দিষ্ট কিছু মাঠেই প্রত‍্যেক দিন ম‍্যাচ হচ্ছে।
দ্বিতীয়ত, এবছর বয়স ভিত্তিক লিগ। বহু ছোট ছোট ছেলে এবার লিগে খেলছে। ভয় একটাই, এই কাদা মাঠে খেলতে গিয়ে উঠতি ফুটবলাররা যেন বড় চোট না পেয়ে যায়।

শনিবার টাউন মাঠ

সব থেকে খারাপ মাঠ হল রেঞ্জার্সের মাঠ। শনিবার এই রেঞ্জার্স মাঠে পঞ্চম ডিভিশনের ‘বি’ গ্রুপের ম‍্যাচ ছিল সরৎ সমিতি ও রবার্ট হাডসনের মধ‍্যে। খারাপ মাঠ হওয়া সত্বেও ম‍্যাচ খেলতে কোনও আপত্তি করেননি দুই দলের কর্তারা। এদিন ম‍্যাচে অংশ নেওয়া একাধিক ক্লাব কর্তারা জানাচ্ছেন, কাদা মাঠ নিয়ে তাঁদেরও চিন্তা হয় তবে খেলা চালিয়ে যেতে চান। তবুও ফুটবলারদের চোট পাওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়।

ওয়াইএমসিএ মাঠে ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে আইএফএ সচিব অনির্বান দত্ত

আইএফএ সচিব অনির্বান দত্ত প্রত‍্যেক দিন বিকেলে বিভিন্ন মাঠে গিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। শনিবারও মাঠে মাঠে ঘুরলেন, ম‍্যাচ খেলতে আসা বিভিন্ন ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে কথা বলছেন, সমস‍্যার কথা শুনছেন। কি বলছেন আইএফএ সচিব? “এবার কি অবস্থায় লিগ শুরু করা হয়েছে সবাই জানে। আমাদের ২০ দিনে ৯০০ বেশি ম‍্যাচের প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। আর এমন একটা সময় লিগ শুরু হল যখন ভরা বর্ষা। এই মুহূর্তে মাঠ ঠিক করার সময় ও সুযোগ আমাদের হাতে নেই। এখন যদি এই ম‍্যাচ গুলি জেলায় পাঠিয়ে দিই তাহলেও সমস‍্যা। ক্লাবগুলির খরচ অনেক বেড়ে যাবে। বাস্তবটাও আমাদের ভাবতে হবে। লিগ যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় তার জন‍্য আইএফএ সতর্ক থাকছে।” ওয়াইএমসিএ মাঠে দাঁড়িয়ে বলছিলেন অনির্বান দত্ত।

গ্রিয়ারের গোলদাতা পল্লব মন্ডল ও তাপস সোরেন।

এদিন, তৃতীয় ডিভিশনের খেলায় কালিঘাট ক্লাব ২-১ গোলে হারাল ডব্লিউ বি ইউনাইটেডকে। কালিঘাটের হয়ে দীপক দাম ও অমিত মাহাত গোল করেছে। ইউনাইটেডের গোলদাতা শান্তনু রায়। ট‍্যাংরা ফুটবল ক্লাব ও বেহালা ইয়ুথ অ‍্যাসোসিয়েশন ম‍্যাচ গোলশূন‍্য ভাবে শেষ হয়েছে। অ‍্যাডামাস ইউনাইটেড ৩-১ গোলে হারাল কাশীপুর সরস্বতী ক্লাবকে। অ‍্যাডামাসের হয়ে সুব্রত সাইবু দুটি ও স্বর্ণদীপ সাংমা একটি গোল করেছে। কাশীপুরের গোলদাতা শ্রীনাথ হালদার। এবছর প্রথম লিগে অংশ নেওয়া জ‍্যোতির্ময়ী এসি ১-০ গোলে হারাল গরলগাছা স্পোর্টিংকে। জয়সৃচক গোলটি করেছেন তাহির হালদার। একই ডিভিশনে কুমারটুলি ইনস্টিটিউটকে ২-১ গোলে হারাল গ্রিয়ার স্পোর্টিং। গ্রিয়ারের গোলদাতা পল্লব মন্ডল ও তাপস সোরেন। কুমারটুলির গোলদাতা অঙ্কন সরকার।

হেস্টিংসের তিন গোলদাতা মার্সাল, ববি ও অভিজিৎ

একইদিনে পঞ্চম ডিভিশনের ‘বি’ গ্রুপের ম‍্যাচে হৃষিকেশ পার্ক ইনস্টিটিউট ৬-১ গোলে হারাল ওয়াইএমসিএ (ওয়েলিংটন)কে। হৃষিকেশ পার্কের হয়ে রিয়াজ গাজি, জিৎ মিত্র দুটি করে এবং জুবের মোল্লা ও সুলেমান মোল্লা একটি করে গোল করে। সরৎ সমিতি ও রবার্ট হাডসন ম‍্যাচ গোলশূন‍্য ভাবে শেষ হয়েছে। জর্জ কলেজ অফ গেমস অ‍্যান্ড স্পোর্টসকে ৩-২ গোলে হারাল হেস্টিংস ফুটবল ক্লাব। হেস্টিংসের হয়ে গোল করেছে মার্সাল হেমব্রম, ববি প্রামানিক ও অভিজিৎ মুর্মূ। জর্জ কলেজের দুই গোলদাতা আহমদুল্লা খান ও রাজ কয়াল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here