কাদাপাড়াতেই কেন বারবার হামলা? মুখ‍্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ ইস্টবেঙ্গল

0

◆সাংবাদিক সম্মেলনে দেবব্রত সরকার ও রাজা গুহ। সোমবার ক্লাব তাঁবুতে◆

ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : বারবার কাদাপাড়াতেই কেন হামলার মুখে পড়ছেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা? প্রতিটা ডার্বি ম‍্যাচের পর যুবভারতী সংলগ্ন কাদাপাড়া অঞ্চলে (বাইপাস থেকে ফুলবাগান যাওয়ার মোড়) নিগৃহীত হচ্ছে লাল-হলুদ সমর্থকরা। এটা চলছে বেশ কয়েক বছর ধরে। এবার বন্ধ হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা।

সোমবার বিকেলে এই বিষয় নিয়ে ক্লাব তাঁবুতে সাংবাদিক সম্মেলন করে ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার জানিয়ে দিলেন, এবার তাঁরা মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়ের দ্বারস্থ হতে চলেছেন। দেবব্রত সরকার এদিন সাংবাদিক সম্মেলন শুরুতেই রবিবারের ডার্বি ম‍্যাচের পর ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের নিগৃহীত হওয়ার ঘটনার ভিডিও সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তাঁদের কোনও সমর্থকদের শরীর থেকে লাল-হলুদ জার্সি ছিঁড়ে ফেলছেন কিছু মোহনবাগান সমর্থক। আবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পতাকা মাটিতে ফেলে লাথি মারা হচ্ছে। আবার কোথাও রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা ইস্টবেঙ্গল সমর্থকের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করছে।

ডার্বি ম‍্যাচের পর নিগৃহীত ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা।

এমন সব ভিডিও দেখিয়ে দেবব্রত সরকার বলেন,”আমরা লড়াই করব ৯০ মিনিট,মাঠে। ম‍্যাচের শেষে আমরা কোনও লড়াই চাই না। আমরা বিধাননগর থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। সেখানকার স্থানীয় বিধায়ক ও মন্ত্রী সুজিত বসুকেও সব জানানো হয়েছে। যে ভাবে আমাদের সমর্থকরা নিগৃহীত হয়েছে তার তীব্র নিন্দা করছি। এমন ঘটনাকে সমর্থন করি না। যদি ইস্টবেঙ্গলের কেউ এমন করে থাকে সেক্ষেত্রেও আমরা তীব্র নিন্দা করছি।” দেবব্রত সরকারের পাশে বসে ক্লাবের অন‍্যতম কর্তা রজত (রাজা) গুহ বলছিলেন,”ম‍্যাচের আগেই সংগঠকদের বৈঠকে বলেছিলাম,কাদাপাড়ায় পুলিশি ব‍্যবস্থা জোরদার করা হোক। যা আশঙ্কা করেছিলাম সেটাই হল। সেই কাদাপাড়াতেই বেশি করে আক্রান্ত হলেন আমাদের সমর্থকরা।”

প্রশ্ন করা হয়, তাঁদের অভিযোগ কি সেই ভাবে গুরুত্ব দেয়নি বিধাননগর পুলিশ? উত্তরে দেবব্রত সরকার বলেন,”সেটা আপনারা বুঝে নিন। তবে আমরা এবার মুখ‍্যমন্ত্রীকে জানাতে চলেছি। ক্রীড়ামন্ত্রীকেও জানিয়ে রাখবো। যারা ম‍্যাচের পর আহত হয়েছেন তাদের বুধবার ক্লাবে আসতে বলেছি। তাঁদের বক্তব‍্য শুনবো। তাঁদের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ ক্লাব বহন করবে।”

ডার্বি ম‍্যাচের শেষে দুই প্রধান ক্লাব সমর্থকদের মধ‍্যে মারামারির ঘটনা বহু বছর ধরে চলে আসছে। শুধু কাদাপাড়া কেন,চিংড়িঘাটা,স্ট‍্যাডল, ১৩ নম্বর ট‍্যাঙ্ক বা বেলেঘাটা কানেক্টর অঞ্চল এবং যুবভারতীর চত্বরেই তো কিছু সমর্থকদের আবেগের, হিংসার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এটাকে কি ভাবে আটকানো সম্ভব? প্রশ্নের উত্তরে দেবব্রতবাবু বলেন,”দেখুন,আমরা এই ধরনের হিংসা চাই না। আমরা মাননীয়া মুখ‍্যমন্ত্রীকে সবটাই জানাবো। আশাকরি সমস‍্যার সমাধান হবে।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here