ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : ২১ মার্চ থেকে কল্যাণীতে শুরু হতে যাচ্ছে ১০ দলীয় লিগ। যার পোষাকী নাম কেপিএল (কল্যাণী প্রিমিয়ার লিগ)। এই লিগকে সহযোগিতা করছে আইএফএ। বৃহস্পতিবার কলকাতা রেফারি তাঁবুতে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এই লিগের আনুষ্ঠানিক ঘোষনা করল কেপিএল কমিটি। এই অনুষ্ঠানেই জার্সি উন্মোচন করা হল। সেই সঙ্গে অংশ নেওয়া দলের ১০ অধিনায়কের হাতে তুলে দেওয়া হল জার্সি।
![](https://insidesports.in/wp-content/uploads/2021/03/PicsArt_03-18-05.58.57-1024x709.jpg)
কল্যাণী বিধানসভা কেন্দ্রের মোট দশটা দল এই লিগে অংশ নিচ্ছে। ম্যাচ হবে ২৫টি। কল্যাণী স্টেডিয়াম সহ মোট ৯ টি মাঠে কেপিএলের ম্যাচ হবে। ফাইনাল ১১ এপ্রিল।
কল্যাণী পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শান্তনু ঝাঁ প্রথম কল্যাণী স্টেডিয়াম তৈরি করেছিলেন। পরবর্তীকালে নীলিমেশ রায়চৌধুরী এই কল্যাণী স্টেডিয়ামের দায়িত্ব নিয়ে চেহারাটায় বদলে দিয়েছেন। তিনি ভারতীয় ফুটবলের মানচিত্রে কল্যাণীকে একটা জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কল্যাণীকে বাংলার ফুটবলে প্রাণকেন্দ্র করে তোলার ক্ষেত্রে এআইএফএফের সহসভাপতি সুব্রত দত্তরও বিশাল ভূমিকা ভূমিকা আছে। তবে সাম্প্রতিক কালে কল্যাণী স্টেডিয়াম,ফুটবলে মুখ হচ্ছেন কল্যাণী পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান নীলিমেশ রায় চৌধুরী। তিনি একাধারে ক্রীড়া সাংবাদিক,ভাষ্যকার,নাট্যকার এবং অবশ্যই দক্ষ ক্রীড়া প্রশাসক। সেই নীলিমেষবাবুর পরিকল্পনায় জেলার ফুটবলকে স্বমহিমায় ফিরিয়ে আনতে এই কেপিএলের ভাবনা। “জেলার ফুটবল না বাঁচলে বাংলার ফুটবল বাঁচতে পারে না। ভারত বিখ্যাত ফুটবলারদের তালিকাটা দেখুন, বেশির ভাগ জেলা থেকে উঠে এসেছেন। বাংলার ফুটবলকে বাঁচাতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।” সাংবাদিক সম্মেলনের শেষে “ইনসাইড স্পোর্টস”-কে কথা গুলি বলছিলেন নীলিমেষ রায়চৌধুরী।
এই বাংলার ফুটবলে কল্যাণী একটা বড় নাম। এখনও পযর্ন্ত ৪৮টি ফ্লাড লাইটে ম্যাচ হয়েছে। আশা করা যায়, কল্যাণীর নতুন লিগ কেপিএল জেলার ফুটবলকে নতুন পথ দেখাবে।
![](https://insidesports.in/wp-content/uploads/2021/03/PicsArt_03-18-05.55.58-871x1024.jpg)
এদিকে, কেপিএলকে সফল করতে স্বত:স্ফূর্তভাবে এগিয়ে এসেছেন প্রাক্তন ফুটবলার বাজু ওরফে সুরজিত বসু। মোহনবাগান, টালিগঞ্জের এই প্রাক্তন ফুটবলার সুরজিত গত এক বছর আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। দিল্লির এইমসে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করে মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে এসেছেন। এখনও কেমো চলছে। দীর্ঘদিন পর এদিন ময়দানে এসে আপ্লুত সুরজিত। তিনি কল্যাণীর ছেলে। কেপিএলের সাংবাদিক সম্মেলনে নীলিমেশবাবু তাঁকে নিয়ে এসেছিলেন। অনুষ্ঠানের শেষে “ইনসাইড স্পোর্টস”-কে সুরজিত বলছিলেন,”ময়দানের মানুষ আমাকে এত ভালবাসে সেটা অসুস্থ না হলে বুঝতেই পারতাম না। একটা সময় ভেবেছিলাম, হাসপাতাল থেকে আর ফিরতে পারব না। কিভাবে চিকিৎসার টাকা জোগার হল আমি নিজেই জানি না। সব ঈশ্বরের কৃপা। ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলছি।”
ভবিষ্যতে ফুটবল কোচিংয়ে আশার ইচ্ছা আছে? সুরজিত বললেন,”আগে ভাল করে সুস্থ হয়ে জীবনটা বাঁচুক। এখনও আমার কেমো চলছে। আমাদের কল্যাণীতে কেপিএল হচ্ছে। আমাকে ডাকা হয়েছে। আমি খুব খুশি। আমার বিশ্বাস, কেপিএল সফল হবে।”