◆এআইএফএফ সভাপতি কল্যাণ চৌবের সঙ্গে আইএফএ চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত◆
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : প্রফুল প্যাটেলের পর তাঁরই সভাপতি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পযর্ন্ত সেটা হয়নি নানান কারণে। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে এআইএফএফের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সব স্বপ্ন পূরণ হয় না। প্রচন্ড বাস্তববাদী বলেই সুব্রত দত্তর কোনও আফসোসও নেই। বরং তিনি মনে করেন যোগ্য ব্যক্তির হাতেই ফেডারেশনের দায়িত্বটা গিয়েছে। সুব্রতবাবুর উপলব্ধি, নতুন প্রজন্মকে সুযোগ দেওয়া উচিত।

এআইএফএফ সভাপতি কল্যাণ চৌবের আমন্ত্রণে বৃহস্পতিবার মধ্য কলকাতার পাঁচ তারা হোটেলে গিয়েছিলেন এআইএফএফের সদ্য প্রাক্তন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত। একান্ত আলাপচারিতায় ‘ইনসাইড স্পোর্টস’কে সুব্রত দত্ত বলছিলেন,”অতীতে কল্যাণের সঙ্গে আমার ফুটবল নিয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। ওর নানান পরিকল্পনা ভীষনই ইতিবাচক। কল্যাণ ভীষণ ঠান্ডা মাথার ছেলে। ধির,স্থির, পরিণত মাথা। ওর বড় গুন হল, সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চায়। যোগ্য ব্যক্তির হাতেই ফেডারেশনের দায়িত্ব গিয়েছে। আমার বিশ্বাস, কল্যাণের হাত ধরেই ভারতীয় ফুটবলের অগ্রগতি ত্বরান্বিত হবে। আমি বিশ্বাস করি,কল্যাণ দক্ষ প্রশাসক হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করবে।”

আপনি তো দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে ফেডারেশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রচুর অভিজ্ঞতা আপনার আছে। নতুন কমিটি যদি আপনার কোনও পরামর্শ চায় তাহলে পরামর্শ দেবেন? উত্তরে সুব্রত দত্ত বলেন,”এআইএফএফ যদি মনে করে আমার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতেই পারে। আমার কোনও আপত্তি নেই। সবার আগে ফুটবলের উন্নয়ন। আমরা সবাই ফুটবলকে ভালবেসে কাজ করি। কল্যাণও ভালবেসেই কাজ শুরু করেছে।”

আপনি তো অনেক পরিকল্পনা করেছিলেন। সব পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়েছে? “আমার অনেক পরিকল্পনা, স্বপ্ন ছিল ঠিকই। অনেক ক্ষেত্রে কাজ করতে পেরেছি। আসলে ভারতীয় ফুটবল নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলাম,যে সব পরিকল্পনা করেছিলাম তা কাজ করার সুযোগ আমি পাইনি। একজন মানুষের সব স্বপ্ন পূরণ হয় না। তাই নিয়ে হাহুতাশ করার কোনও মানে হয় না। আমার ভাল লেগেছে আজ কল্যাণ রাজ্য সংস্থাকে ভীষণভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। আমিও মনে করি, সকল রাজ্য ফুটবলের উন্নয়ন জরুরি। তবেই ভারতীয় ফুটবলের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব। কল্যাণ ঠিক পথেই এগোচ্ছে। ও সফল হবে।” কথাগুলি বলছিলেন সুব্রত দত্ত।