ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : কলকাতা ফুটবল লিগে শুধু ফুটবলার নয়, উঠে আসছে এক ঝাঁক রেফারি, সহকারি রেফারিও। গত দুই বছর ধরে লিগ বন্ধ থাকায় ( প্রিমিয়ার ‘এ’ গ্রুপ ছাড়া) বহু রেফারি কঠিন সমস্যার মধ্যে পড়েছিলেন। যারা ২০১৮ ও ২০১৯ সালে পরীক্ষায় পাস করেছিলেন তারা গত দুই বছর সেই ভাবে ম্যাচ খেলানোর সুযোগ পাননি। এটা রেফারিদের কাছে ক্ষতি। এবার লিগ শুরু হওয়ার পর এক ঝাঁক তরুণ, তরুণী স্বতঃস্ফূর্তভাবে মাঠে নেমে ম্যাচ পরিচালনা করছেন। কলকাতা রেফারি সংস্থার সচিব উদয়ন হালদার ‘ইনসাইড স্পোর্টস’কে বলছিলেন, “গ্রেডেশন অনুযায়ী আমরা বিভিন্ন ডিভিশনে আমরা ম্যাচ পোস্টিং দিচ্ছি। এবার মেয়েদের সংখ্যা যথেষ্ট ভাল। যে ভাবে চলছে আগামী দিনে বেশ কিছু ভাল মানের রেফারি,সহকারি রেফারি উঠে আসবে আমি নিশ্চিত।”
আজ,রবিবার কলকাতা ফুটবল লিগে চতুর্থ ও পঞ্চম ডিভিশন মিলিয়ে মোট ৯ টি ম্যাচ ছিল। চতুর্থ ডিভিশনের খেলায় টাউন মাঠে বাটা স্পোর্টস ক্লাব ১-০ গোলে হারাল দক্ষিণ কলকাতা সংসদকে। জয়সূচক গোলটি করেছে রাজেস কিস্কু। একই গ্রুপের যাদবপুর অগ্রগামী ও জিইএফএ যাদবপুর অ্যাসোসিয়েশন এবং আরটি স্পোর্টস ক্লাব ও শ্যামবাজার ইউনাইটেড ম্যাচ দুটি গোল শূন্যভাবে শেষ হয়েছে।
পঞ্চম ডিভিশনের ‘এ’ গ্রুপের খেলায় কালিঘাট মাঠে ন্যাশনাল অ্যাথলেটিক ক্লাবকে ৬-০ গোলে হারাল বেঙ্গল স্পোর্টিং ক্লাব। প্রদীপ রায়, সৈকত ঘোষ ও সৌরভ মালাকার দুটি করে গোল করেছে। ক্যালকাটা রেঞ্জার্স ক্লাব ৪-০ গোলে হারাল ক্যালকাটা অ্যাথলেটিক ক্লাবকে। রেঞ্জার্সের হয়ে গোল করেছে মাকিরুল,রথিজিৎ, নাজিউদ্দিন ও বিনয়। সারদাচরন এসি প্রথম ম্যাচে হারলেও এদিন বড় ব্যবধানে জিতল। রেঞ্জার্স মাঠে সারদা ৪-০ গোলে হারাল ফেডারেশন ক্লাবকে। সারদার হয়ে রাজা সর্দার দুটি এবং সাকিল হোসেন গাজি, কৃষ্ণেন্দু মাঝি একটি করে গোল করে। বি জি প্রেস মাঠে বরনগর শিবশঙ্কর ২-১ গোলে হারাল ওল্ড ফ্রেন্ডসকে। শিবশঙ্করের হয়ে গোল করেছে কেশব কুমার সাউ ও দিবস নস্কর। ওল্ড ফ্রেন্ডসের গোলদাতা অনুপম দাস।
পঞ্চম ডিভিশনের ‘বি’ গ্রুপের খেলায় পেয়ারাবাগান ৩-০ গোলে হারায় গার্ডেনরিচ এমএসকে। গোলদাতা সুমন হাঁসদা,দেব মাল ও সৌভিক বিশ্বাস। আরিয়াদহ স্পোর্টিং ক্লাব ৩-০ গোলে হারাল বুদ্ধিস্ট ক্লাবকে। গোলদাতা দীপ,সোহিল ও সৌরভ।