ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন :
প্রয়াত ফুটবল প্রেমীদের স্মরণ করার দিন। ১৬ অগাষ্ট, ১৯৮০ সাল। এই দিনেই ইডেনে অনুষ্ঠিত মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে ঘটেছিল সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা। খেলা দেখতে এসে মৃত্যু হয়েছিল ১৬ জন ফুটবল প্রেমীর। তার পর থেকে প্রতি বছর এই দিনটাতে পালিত হয় ‘ফুটবল প্রেমী দিবস’।
এই বছরও শহীদ ফুটবল প্রেমীদের শ্রদ্ধা রেখেই ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে হয়ে গেল ‘ফুটবল প্রেমী দিবস’। রক্তদানের মধ্যে দিয়ে এই অনুষ্ঠান পালিত হয়।
এই দিনে যারা রক্ত দেন তাঁদের ভারতের কোনও প্রাক্তন ফুটবলারের স্বাক্ষরিত শংসাপত্র দেওয়া হয়। এই বছর ভারতের প্রখ্যাত প্রাক্তন ফুটবলার অমিত ভদ্রর সই করা শংসাপত্র দেওয়া হয়।
অমিত ভদ্র অনুষ্ঠানে এসে বলেন,”অতীতে এই দিনে রক্তদাতাদের ভারতের কিংবদন্তি ফুটবলারদের সই করা শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। এই বছর আইএফএ আমাকে নির্বাচন করেছেন তার জন্য আমি সম্মানিত। এই দিনটা ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে কালো দিন, দূঃখের দিন। ভবিষ্যতে মাঠে বা মাঠের বাইরে এমন ঘটনা যেন না ঘটে।”
এদিন ‘ফুটবল প্রেমী দিবসে’ রক্তদান করলেন খোদ আইএফএ সচিব অনির্বান দত্ত। অতীতে আইএফএ-এর কোনও সচিব ‘ফুটবল প্রেমী দিবসে’ রক্ত দিয়েছেন কিনা তা মাঠের অনেক অভিজ্ঞ ব্যক্তি বলতে পারলেন না।
এদিন ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ছিলেন আইএফএ-এর সভাপতি অজিত ব্যানার্জি। এছাড়াও এদিন ‘ফুটবল প্রেমী দিবস’ -এ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সামিল হয়েছিলেন মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত, ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার, মহমেডানের কর্তা মহম্মদ কামরুদ্দিন, সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া, বিশ্বরূপ দে, বিধায়ক দেবাশিস কুমার।
উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি স্বপন ব্যানার্জি। এছাড়াও ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার সত্যজিৎ চ্যাটার্জি, দেবাশিস মুখার্জি ও মানস ভট্টাচার্য, তরুণ দে, দেবজিৎ ঘোষ, রহিম নবি, সঞ্জয় মাঝি, শান্তি মল্লিক, কুন্তলা ঘোষ দস্তিদার প্রমূখ।
এদিন কলকাতা ছাড়াও বিভিন্ন জেলাতেও ফুটবল প্রেমী দিবস পালন করা হয়। যেমন এদিন সকাল থেকে শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদেও রক্তদান অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ফুটবল প্রেমী দিবস পালন করা হয়।
এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের অডিটোরিয়ামে ‘খেলা হবে দিবস’ উপলক্ষ্যে কমনওয়েলথ গেমসে পদক জয়ী অচিন্ত সিউলি ও সৌরভ ঘোষালকে সংবর্ধনা জানান ক্রীড়ামন্ত্রী। এই দুই কৃতি খেলোয়াড়দের হাতে সরকারের পক্ষ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।