ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : “আপনারা জানেন,কিছুদিন আগেই আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখার্জি পদত্যাগ করেছেন। কয়েকদিন আগে তাঁর পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি সচিব হিসেবে বাংলার ফুটবলকে একটা উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন। তার জন্য আমি আইএফএ-এর সকল ইউনিটের পক্ষ থেকে জয়দীপকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। চলুন,আমরা সবাই দাঁড়িয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানাই”। আইএফএ চেয়ারম্যান সুব্রত দত্তর বক্তব্য শেষ হতেই এজিএমে সকল উপস্থিত সদস্যরা দাঁড়িয়ে করতালি দিয়ে অভিনন্দনের সঙ্গে বিদায় জানালেন জয়দীপকে। এমন এক আবেগঘন পরিস্থিতিতে চেয়ারে বসে থাকতে পারেননি জয়দীপও। এদিনের এজিমের বৈঠকে সদস্যদের অভিনন্দন নিয়েই পাকাপাকি ভাবে সচিব পদ থেকে বিদায় নিলেন জয়দীপ। গত তিন বছরের জার্নি শেষ করলেন বৃহস্পতিবার সুবর্ণ বনিক শীততাপ নিয়ন্ত্রিত হল ঘরে।
সচিব হিসেবে শেষ দিনে জয়দীপ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন,”কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও আইএফএ একটা টিম হিসেবে ফুটবলের উন্নয়নে কাজ করে গিয়েছে। সমস্ত ইউনিটের সদস্যরা যে ভাবে সমর্থন করেছেন তা প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতে আইএফএ আরও ভাল কাজ করবে।”
এদিন,বৃহস্পতিবার ছিল আইএফএ-এর অ্যানোয়াল জেনারেল মিটিং। এই ধরনের সভায় সাধারণত “পাশ-পাশ-পাশ” করেই মিটিং শেষ হয়ে যায়। অতীতের মতো এদিনও তার অন্যথা কিছুই হয়নি।
শরীর খারাপ থাকায় কথা বলতে কষ্ট হচ্ছিল বলেই আইএফএ সভাপতি অজিত ব্যানার্জি সভা শুরু করে মাইক্রোফোন তুলে দেন চেয়ারম্যান সুব্রত দত্তর হাতে। তারপর থেকে সভা পরিচালনা করেন সুব্রতবাবু।
গত বছরের আর্থিক হিসেব পেশ করার সময়ই সদস্যরা পাশ করে দেন। গত মরসুমের অ্যানুয়াল রিপোর্ট পেশ করেন বিদায়ী সচিব জয়দীপ। সেটাও পাশ। নতুন গভর্নিং বডির সদস্যদের নাম পড়ে শুনিয়ে অভিনন্দন জানান সুব্রত দত্ত। কার্যত আধ ঘন্টার মধ্যেই সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়ে যায় আইএফএ-এর জেনারেল মিটিং।
এবার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ গর্ভনিং বডির সভা হতে চলেছে আগামী সোমবার। ওই দিন বেছে নেওয়া হবে আইএফএ-এর নতুন সচিব,তিন সহসভাপতিকে।