ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : সব জল্পনার শেষ। শনিবার ইডেনে এসে এনওসি নিয়ে বাংলা ছাড়লেন ক্রিকেটার ঋদ্ধিমান সাহা। বাংলা ছাড়লেও তিনি কোন রাজ্যের হয়ে খেলবেন এদিন তা স্পষ্ট করেননি।
এদিন ইডেন ছাড়ার সময় ঋদ্ধি সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলায় থাকার জন্য আমাকে আগেও অনুরোধ করা হয়েছিল। আজকেও থেকে যাওয়ার জন্য বলা হয়। কিন্তু সিদ্ধান্ত যখন নিয়েই ফেলেছি তখন আর থাকার কথা ভাবিনি। এনওসি পেয়েছি। বাংলাকে আমার শুভেচ্ছা রইল”।
শেষ পযর্ন্ত সিএবির সঙ্গে ইগোর লড়াইয়ে বিরক্ত হয়ে চলে যেতে হল? উত্তরে ঋদ্ধি জানান,”সিএবি বা বাংলা দলের সঙ্গে আমার কোনও দিনই ইগোর লড়াই ছিল না। হয়তো এক কর্তার সঙ্গে একটা মতপার্থক্য হয়েছিল। ঠিক আছে। কোথায় খেলব তা কিছুদিনের মধ্যেই জানতে পারবেন”। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সিএবির যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস ঋদ্ধির দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। দেবব্রতর ওই মন্তব্যর জন্য দূঃখ প্রকাশ করার দাবি জানান ঋদ্ধি। কিন্তু দেবব্রত কোনও রকম ভাবে দূঃখ প্রকাশ করেননি। আশ্চর্যের ঘটনা সিএবির শীর্ষস্থানীয় কর্তারা এই ব্যাপারে নীরব ছিলেন। মাঠে,মাঠের বাইরে ঋদ্ধির দায়বদ্ধতা যথেষ্ট ভাল। কিন্তু কোন কারণে সিএবি কর্তারা নীরব থাকলেন। যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল তাতে কি আন্তরিকতা ছিল? বরং দেবব্রত দাস ভারতীয় দলের ম্যানেজার পদ পেয়ে ‘পুরস্কৃত’ হলেন। এই নিয়ে স্থানীয় ক্রিকেট মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।