এটিকে মোহনবাগান -২ (রয়কৃষ্ণ,শুভাশিস)
বেঙ্গালুরু এফ সি – ০
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,১৮ অগাস্ট : ম্যাচের বয়স তখন ৩৮ মিনিট ৪০ সেকেন্ড। হুগো বৌমাসের কর্ণার থেকে ভেসে আসা বলে মাথা ছোঁয়ান কার্ল ম্যাকহিউ। সেই বল মাটিতে পরার আগেই ব্যাক হেডে গোল করে এটিকে মোহনবাগানকে ১-০ গোলে এগিয়ে দিলেন ‘গোল মেশিন’ রয় কৃষ্ণা। ফিজির এই স্ট্রাইকার গোলটি করে বুঝিয়ে দিলেন তিনি আইএসএলের মতোই গোলের মধ্যেই আছেন। ফলে এএফসি কাপে নিজেদের ম্যাচে সহজ জয় (২-০) ছিনিয়ে নিল এটিকে মোহনবাগান।
এবারের এটিকে মোহনবাগান দলে অনেক নতুন ফুটবলার এসেছেন। প্রস্তুতি নেওয়ার সময় কোচ হাবাস নিজের পরিকল্পনা নতুন দলে আসা ফুটবলারদের বুঝিয়ে দিতে পেরেছেন। দলের প্রথম গোলটাতে পরিকল্পনার ছাপ স্পষ্ট। প্রথম গোল হওয়ার আগেও সবুজ-মেরুন দল এগিয়ে যেতে পারত। এদিন ম্যাচে পাসিং ফুটবল খেলার চেষ্টা করে গিয়েছে হাবাসের দল।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ঝলসে উঠল এটিকে মোহনবাগান। পরিকল্পিত আক্রমণ। বাঁ দিক থেকে ডেভিড উইলিয়ামসের ক্রস বিপক্ষ দলের পেনাল্টি বক্সের মধ্যে বাঁ পায়ে ট্র্যাপ করে পেছনের ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে চকিতে ঘুরে যান শুভাশিস। না, এতটুকু দেরি করেননি। বাঁ পায়ের শটে গুরপ্রীত সিংহ সান্ধুকে বোকা বানিয়ে গোল করেন বাঙালি ফুটবলার শুভাশিস বসু।
পরবর্তীকালে ম্যাচের বয়স যত বেড়েছে এটিকে মোহনবাগান ততই যেন ডিফেন্সিভ হয়েছে। আইএসএলের পর এদিনের ম্যাচটাই ছিল মরসুমের প্রথম ম্যাচ। কিন্তু তা দেখে বোঝার উপায় ছিল না। যেন পুরনো ছন্দ ধরে রেখেই পাসিং ফুটবল খেলার চেষ্টা করে গিয়েছেন কৃষ্ণা, হুগো,শুভাশিসরা। তুলনায় সুনীল ছেত্রীরা ছিলেন অনেকটাই নিস্প্রভ। এটিকে মোহনবাগানের পরের দুটি ম্যাচ যথাক্রমে মাজিয়া (২১ অগাষ্ট) ও বসুন্ধরার (২৪ অগাষ্ট) বিরুদ্ধে।