এটিকে মোহনবাগান: ৪ (লিস্টন ৩, উইলিয়ামস)
বসুন্ধরা কিংস: ০
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : এই মরসুমে এখনও পযর্ন্ত ভয়ঙ্কর কাল বৈশাখী বয়ে গেল শহর কলকাতায়। আর এই কালবৈশাখী ঝড় শেষ হতেই যুবভারতীতে আছড়ে পড়ল লিস্টন সাইক্লোন। আর তার জেরেই উড়ে গেল বাংলাদেশের বসুন্ধরা ক্লাব। শনিবার সন্ধ্যায় এএফসি কাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে যুবভারতীতে এটিকে মোহনবাগানের গোয়ানিজ লিস্টন কোলাসোর পায়ে বল নিয়ে যে ঝড় তুললেন তাতে বসুন্ধরা কিংস উড়ে গেল। এটিকে মোহনবাগান ৪-০ গোলে হারাল বসুন্ধরাকে। হ্যাটট্রিক করলেন লিস্টন। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে মনবীরের ক্রস থেকে নিজের হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন লিস্টন।
আর দলের চতুর্থ গোলটি করেন ডেভিড উইলিয়ামস। ৭৬ মিনিটে এটিকে মোহনবাগানের হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন পরিবর্তিত ফুটবলার ডেভিড উইলিয়ামস।
এদিন বিকেল সাড়ে চারটের সময় ম্যাচ শুরু হয় সুষ্ঠু ভাবেই। কিন্তু চার মিনিটের মধ্যে শুরু হয় বৃষ্টি। আরও সাত মিনিট পর শুরু হয় কালবৈশাখী ঝড়। সঙ্গে বজ্র বিদ্যুৎ সহ মুশলধারে বৃষ্টি। ম্যাচের বয়স তখন ১১ মিনিট ২৮ সেকেন্ড। ঝড়ের ভয়ঙ্কর আওয়াজ। একটার পর একটা বিলবোর্ড উড়ে যাচ্ছে। ২-৩ টে স্টিলের পাত উড়ে এসে পড়ল মাঠে। কাঁপছে প্রেস বক্স। গোটা স্টেডিয়াম তখন ঝাপসা। রেফারি আর কোনও ঝুঁকি না নিয়ে ম্যাচ বন্ধ করে দিলেন। ৫০ মিনিট পর ফের খেলা শুরু হয়।
প্রকৃতি শান্ত। কিন্তু মাঠে এবার ঝড় তুললেন লিস্টন কোলাসো। তাঁর আক্রমণাত্মক ফুটবলে নাজেহাল অবস্থা বসুন্ধরার। ম্যাচের ২৫, ৩৪ এবং ৫৩ মিনিটে তিন তিনটি গোল করে বাগানকে জয় নিশ্চিত করে দিয়েছিলেন লিস্টন। গোকুলামের কাছে চার গোল হজম করার দু’দিন পর যে এভাবে ঘুরে দাঁড়াবে ভাবা যায়নি। অসাধারণ প্রত্যাবর্তন। দু-একটা গোলের সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশের বসুন্ধরাও। কিন্তু গোলটাই করতে পারেনি। এএফসি কাপের এই ম্যাচে হারলে বা ড্র করলে এদিনই এএফসি কাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত ছিল এটিকে মোহনবাগানের। আজ,বড় ব্যবধানে জেতার পর নকআউটে যাওয়ার রাস্তা খোলা রাখল এটিকে মোহনবাগান।