ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,২সেপ্টেম্বর,কলকাতা : দিল্লি থেকে কলকাতায় ডুরান্ড করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল ২০১৯ সালে। বিশ্বের পুরনো টুর্নামেন্টের মধ্যে ডুরান্ড নাকি তৃতীয়। দাবি ভারতীয় সেনার। সেই ডুরান্ড দিল্লিতে জনপ্রিয়তা হারিয়েছিল। তার বড় কারণ মোহনবাগান,ইস্টবেঙ্গল অনিয়মিত হয়ে গিয়েছিল। ১৩৩ বছরের এই প্রাচীন ডুরান্ডে প্রাণ ফেরাতে কলকাতা শহরকেই বেছে নিয়েছে ভারতীয় সেনা। এবারও ঘটা করেই যুবভারতী, মোহনবাগান ও কল্যাণী স্টেডিয়ামে হতে চলেছে ১৬ দলীয় ডুরান্ড কাপ। যুবভারতীতে ১৪টি, মোহনবাগান মাঠে ৯ টি এবং কল্যাণীতে ৮ টি ম্যাচ হবে।
বৃহস্পতিবার ময়দানের ফোর্ট উইলিয়ামে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিলেন ভারতীয় সেনারা। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মহমেডান স্পোর্টিং ও এয়ার ফোর্স দলের ম্যাচ দিয়ে এবারের ডুরান্ড শুরু হবে। উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইনাল হবে ৩ অক্টোবর।
মোট ১৬ টি দল অংশ নিচ্ছে। চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। চারটি গ্রুপে যে দল গুলি আছে –
‘এ’ গ্রুপ -এয়ার ফোর্স ফুটবল টিম, মহমেডান স্পোর্টিং, সিআরপিএফ,এফসি বেঙ্গালুরু ইউনাইটেড।
‘বি’ গ্রুপ – জামশেদপুর ফুটবল ক্লাব, সুদেবা দিল্লি ফুটবল ক্লাব, আর্মি গ্রিন ফুটবল টিম।
‘সি’ গ্রুপ – দিল্লি ফুটবল ক্লাব, ইন্ডিয়ান নেভি ফুটবল টিম, বেঙ্গালুরু ফুটবল ক্লাব, কেরালা ব্লাস্টার্স।
‘ডি’ গ্রুপ – অসম রাইফেলস ফুটবল টিম, আর্মি রেড ফুটবল টিম, হায়দরাবাদ ফুটবল ক্লাব। গোকুলম কেরালা ফুটবল ক্লাব।
এই বছর মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল ডুরান্ডে অংশ নিতে পারছে না। উল্লেখ্য, ডুরান্ডের ইতিহাসে কলকাতার এই দুই প্রধান ১৬ বার করে ডুরান্ড খেতাব জিতেছে। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান,” ইচ্ছে থাকলেও নিজেদের সমস্যার জন্য এবার ডুরান্ডে অংশ নিতে পারছে না মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল। তবে দেশের সেরা দলগুলি কিন্তু অংশ নিচ্ছে। রাজ্য সরকার ডুরান্ডের সঙ্গে আছে। আশাকরি সামনের একটা মাস সুষ্ঠুভাবে ডুরান্ড হবে।”
আগামী পাঁচ বছর এই কলকাতায় ডুরান্ড কাপ আয়োজন করবে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় সেনার আধিকারিকরা।