◆দুই কোচের সঙ্গে কুন্তলা ঘোষদস্তিদার,রবিবার রায়গঞ্জের টাউন ক্লাবের মাঠে◆
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : IFA এবং AIFF জেলা ফুটবলের উন্নয়নের জন্য বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। গ্রামীণ ফুটবলে গুরুত্ব না দিলে বাংলার ফুটবলে উন্নয়ন সম্ভব নয়। উত্তরবঙ্গে আছে বহু ফুটবল প্রতিভা। কিন্তু সেই প্রতিভাদের তুলে এনে ফুটবলের প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়ার জন্য চাই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কোচ। ফুটবল কোচিং শিক্ষায় শিক্ষিত কোচ না থাকলে ফুটবলারদের তালিম দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় রকমের গলদ থেকেই যাবে। এই ভাবনা থেকেই উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরের টাউন ক্লাব ‘ই’ লাইসেন্স কোচিং কোর্সের আয়োজন করেছিল।
প্রসঙ্গত, উত্তর দিনাজপুর জেলায় এই প্রথম AIFF স্বীকৃত কোচিং লাইসেন্স কোর্স করা হল। অতীতে যারা এই জেলার ডিএসএ-পদে আলো করে বসেছিলেন, সেই সব কর্তারা এমন ভাবনা ভাবেননি অথবা ভাবার প্রয়োজনও মনে করেননি। ‘কুয়োর ব্যাঙ’ হয়ে থেকেছেন চিরকাল। কিন্তু রায়গঞ্জ টাউন ক্লাবের কর্তারা যুগোপযোগী হয়ে ৩০ জন কোচকে নিয়ে ‘ই’ লাইসেন্স কোর্সের প্রশিক্ষণ শিবির করে ফেললেন। AIFF -এর প্রতিনিধি লিড ইনস্ট্রাক্টর ও অভজার্ভার কুন্তলা ঘোষ দস্তিদারের নেতৃত্বে চার দিনের এই ‘ই’ লাইসেন্স কোচিং কোর্স প্রশিক্ষণ শিবির হয়ে গেল।
গত ১১ মে থেকে ১৪ মে (রবিবার) রায়গঞ্জের টাউন ক্লাবের মাঠে এই কোচিং কোর্স হয়ে গেল। ভারতের প্রাক্তন ফুটবলার কুন্তলা ঘোষ দস্তিদার এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের কোচিং লাইসেন্সের লিড ইনস্ট্রাক্টর ও অভজার্ভার। তাঁর সহকারি হিসেবে সঙ্গে ছিলেন তনুময় বসু ও জয়ব্রত ঘোষ। এই কোচিং প্রশিক্ষণের যাবতীয় ব্যবস্থাপনা ছিল খুব ভাল।
কুন্তলা ঘোষদস্তিদার ‘ইনসাইড স্পোর্টস’ বলছিলেন,”জেলায় জেলায় অনেক ভাল ভাল ফুটবলার আছে। তাদের ফুটবল তালিম দিতে গেলে নূন্যতম ফুটবল শিক্ষার প্রয়োজন। ভাল লাগল এটা বুঝেই রায়গঞ্জের টাউন ক্লাবের কর্তারা কোচিং কোর্সের ব্যবস্থা করেছে। এখানকার পরিবেশ খুব ভাল। ব্যবস্থাপনায় কোনও ত্রুটি ছিল না। এই চারদিন সুষ্ঠুভাবে কোর্সটা করতে পেরেছি। সব থেকে ভাল লেগেছে টাউন ক্লাবের কর্তাদের ভাল কিছু করার একটা তাগিদ আছে। এই ভাবে সব জেলা এগিয়ে এলে বাংলার ফুটবলে উন্নতি হবে।”
টাউন ক্লাবের সচিব অরিজিৎ ঘোষ বলেন,”বিভিন্ন বয়সের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে একটা ফুটবল কোচিং ক্যাম্প চালাই। প্রাক্তন ফুটবলার দীপক মন্ডল তার প্রধান কোচ। আমাদের এখানে অনেকেই কোচ আছেন কিন্তু তাদের কোনও কোচিং লাইসেন্স নেই। যারা ফুটবল শেখাবে তারা যদি কোচিং শিক্ষায় শিক্ষিত না হন তাহলে সমস্যা হবে। সেই ভাবনা থেকেই আমরা একেবার গোড়া থেকেই শুরু করলাম। আমাদের ‘ই’ লাইসেন্স করার সুযোগ দেওয়ার জন্য AIFF, IFAকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আর কুন্তলা ঘোষদস্তিদার যেভাবে কোর্স করিয়ে গেলেন তাতে সবাই মুগ্ধ। এত ভাল ব্যবহার, সবাইকে নিজের মতো করে শিখিয়ে গেলেন। কুন্তলাদির সঙ্গে তনুময় বসু ও জয়ব্রত ঘোষকেও ধন্যবাদ জানাই। এবার আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য ‘ডি’ লাইসেন্স করা। AIFF IFA সেই সুযোগ দিলে আমরা তাদের গাইড লাইন মেনেই ‘ডি’ লাইসেন্স করতে পারব।”