ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের উপর অভিমান তাঁর ছিলই। কিন্তু অভিমানটা কি তা এতদিন খোলসা করেননি ভারতের কিংবদন্তি ফুটবলার তুলসীদাস বলরাম। বুধবার মৌনতা ভেঙে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের উপর নিজের অভিমান প্রকাশ্যে আনলেন তুলসীদাস বলরাম। তিনি বলেন,”মৃত্যুর পর আমার মৃতদেহ যেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে না ঢোকে।”
কি এমন ঘটেছিল যে তিন দশক পরেও ইস্টবেঙ্গলের প্রতি আপনার এত অভিমান? জবাবে বলরাম বলেন,”আমি সারাজীবন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে ভালোবেসে খেলেছি। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের সম্মান করি। একটা ঘটনা আমাকে অবাক করেছিল। অপমানিত বোধ করেছিলাম। ১৯৯৪ সালে সন্তোষ মোহন দেব আমার নামে একটা বেনিফিট ম্যাচের আয়োজন করেছিলেন। সেই ম্যাচের আগে হঠাৎ ইস্টবেঙ্গল কর্তা পল্টু দাস বলেন বলরাম তো অবসর নিয়েছে। আগে ছিল এখন নেই। এই ম্যাচে বলরামের সঙ্গে প্রশান্ত সিনহাকেও যুক্ত করে দাও। আমার নামের সঙ্গে প্রশান্ত সিনহার নাম যুক্ত করা হলো। আমি আর ক্লাবে নেই বলে প্রশান্ত সিনহার নাম যুক্ত করাটা আমাখে আঘাত করেছে। অপমানিত হয়েছি। আমি বলে যাচ্ছি,আমার মৃত্যুর পর আমার মরদেহ যেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে না ঢোকে।”

বহু বছর আগেই কলকাতা শহর ছেড়ে উত্তরপাড়ায় গঙ্গার ধারে একটা ছোট্ট ফ্ল্যাটে থাকেন বলরাম। ফুটবল ময়দান থেকে অনেক দুরে। বুধবার তাঁর আত্মজীবনী বই প্রকাশ করেন শ্রেনিক শেঠের অল স্পোর্টস প্রডাকশন। বিশিষ্ট ক্রীড়া সাংবাদিক শ্যামসুন্দর ঘোষ বলরামের আত্মজীবনী লিখেছেন। সেই বইয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল কলকাতা প্রেস ক্লাবে। এই অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে তোপ দাগলেন।

অতীতে ‘পদ্মশ্রী’ পাওয়ার জন্য তাঁর নাম সুপারিশ করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়ে যায়। সেই নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছিল। একটি বিশেষ সূত্র থেকে খবর পাওয়া যাচ্ছে, এআইএফএফের নব নির্বাচিত সভাপতি কল্যাণ চৌবে নাকি ‘পদ্মশ্রী’ র জন্য বলরামের নাম সুপারিশ করতে চলেছে। এই ব্যাপারে বলরাম বলেন,”অতীতের ঘটনা সবার জানা। এই মূহুর্তে পদ্মশ্রীর ব্যাপারে আমার সঙ্গে কেউ কোনও যোগাযোগ করেননি। ফলে এই বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।” এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার সুকুমার সমাজপতি, বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য,জামসিদ নাসিরি প্রমুখ।