◆হাওড়ার এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইস্টবেঙ্গলের ‘মেম্বার্স লাউঞ্জ’ নিয়ে কটাক্ষ করার মুহূর্তে মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত◆
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : সুযোগ পেলেই তিনি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল ক্লাব নিয়ে টিপ্পনি কাটেন। এবারও আবার একটি সুযোগ আসতেই লাল-হলুদ শিবিরকে চিমটি কাটলেন মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত। সদ্য হাওড়ার একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে মঞ্চে উঠে ইস্টবেঙ্গলের নতুন ‘মেম্বার্স লাউঞ্জ'(বার কাম রেস্টুরেন্ট ) নিয়ে রীতিমতো টিপ্পনি কেটেই ছাড়লেন।
মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোহনবাগান ক্লাবের সচিব দেবাশিস দত্ত বলেন,”মোহনবাগান সমর্থক, সদস্যরা মোহনবাগান ক্লাবে এসে খেলা দেখুক। আমাদের ক্লাবের ক্যান্টিনের স্টু খান, ঘুগনি খান, চা খান। অন্য কিছু খাওয়ার দরকার নেই। এটাই মোহনবাগানের পরম্পরা। আমরা খেলায়ধূলাকে নিয়েই এগিয়ে চলবো।” তাঁর বক্তব্য শুনে উপস্থিত দর্শকেরা প্রবল উৎসাহের সঙ্গে হাততালি দিতে থাকেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যায় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের নতুন মেম্বার্স লাউঞ্জ (বার কাম রেস্টুরেন্ট ) উদ্বোধন করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম মোহনবাগানের আইএসএল ট্রফি জয়ে করে সেই ট্রফি মোহনবাগান ক্লাবে না এসে মোমিনপুরে (পড়ুন গোয়েঙ্কাদের আরপিএসজি অফিস) চলে যায় বলে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন। কথার লড়াইয়ে মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত পিছিয়ে নেই। মদের নাম না করে ‘অন্য কিছু’ না খেয়ে মোহনবাগান সদস্য-সমর্থকদের স্টু,ঘুগনি,চা খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
ইস্টবেঙ্গলের মেম্বার্স লাউঞ্জ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। ক্লাবের ঐতিহ্য ভেঙে বার কাম রেস্টুরেন্ট করায় সমালোচনা যে হবেই তা জানতেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্তারাও। সেই কারণে হয়তো ইস্টবেঙ্গলের অভিঞ্জ কর্তা শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছিলেন,”আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। কেউ কেউ হয়তো সমালোচনা করবে। কিন্তু যুগোপযোগী হতে হবে। এই বিষয়টাকে ভালভাবে নেবেন।”
উদ্বোধন করার আগে ফিরহাদ হাকিম বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছিলেন, “যখন কেউ ট্র্যাডিশন ভাঙে তখন তার সমালোচনা হয়। তবে এটাও ঠিক ইস্টবেঙ্গলের পরিচিতি ফুটবল। ক্লাব আধুনিক হচ্ছে। তবে আমরা এবার কিন্তু আবার ট্রফি চাই।”