◆স্কোর◆
▪ইস্টবেঙ্গল – ৫
▪উয়াড়ী – ০
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : দুই বাঙাল ক্লাবের লড়াই। ইস্টবেঙ্গল বনাম উয়াড়ী। একটা সময় ওপার বাংলা থেকে যেমন কলকাতা এসে তৈরি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ঠিক সেই বাংলা দেশের ক্রীড়া সংগঠকরাই তৈরি করেছিলেন উয়াড়ী ক্লাব। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে মেয়ো রোডের ধারে সুসজ্জিত শতাব্দী প্রাচীন উয়াড়ীর শিকড় বাংলাদেশ। পাখী সেনরা যখন এই উয়াড়ী তৈরি করেছিলেন তখন বা তার পরবর্তী সময় এই উয়াড়ী ছিল জায়ান্ট কিলার। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গিয়েছে অনেক কিছুই। লকডাউনের আগে উয়াড়ীর তাঁবুটাই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। ধ্বংস স্তুপ থেকে ফের মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে এই উয়াড়ী। গত বছর প্রিমিয়ারেও উঠেছে। ক্লাবের শীর্ষকর্তা প্রবীর চক্রবর্তী সকল সদস্যদের নিয়ে এগিয়ে চলেছেন।
এবছর গোয়া থেকে মিকি ফার্নান্ডেজকে কোচ করে নিয়ে আসা হয়েছে। ভারসাম্যর দল গড়েছেন প্রবীরবাবু,ইন্দ্রনাথ পালরা। স্পনসরও পেয়েছেন। কিন্তু মাঠে ফল পাচ্ছেন না।
শেষ চারটি ম্যাচে অজস্র গোল নষ্টের মাসুল গুনতে হচ্ছে উয়াড়ীকে। যেমন সোমবার ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ২৫ মিনিটে একটি পেনাল্টি পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হলেন লাল্লসমাঙ্গা। তাঁর শট রুখে দিলেন ইস্টবেঙ্গলের গোলরক্ষক আদিত্য পাত্র।
বড় দলের বিরুদ্ধে এমন সুযোগ বারবার আসে না। আর সেই সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলে জয় বা ড্র করার অধিকারও থাকে না। এদিন উয়াড়ীর ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে। ৫০ মিনিট পযর্ন্ত ইস্টবেঙ্গলকে রুখে দিতে পেরেছিলেন উয়াড়ীর ফুটবলাররা। তারপর আর ধরে রাখতে পারেননি। শেষ চল্লিশ মিনিট খেলা থেকেই হারিয়ে গেল।
৫১ মিনিটে দীপ সাহা প্রথম গোলটি করে লাল-হলুদ ব্রিগেডকে এগিয়ে দেন। ৬৯ মিনিটে দলের দ্বিতীয় গোল তন্ময় দাসের। তবে দিনের সেরা গোল অভিষেক কুঞ্জমের। তিনি আরও একটি গোল করেন। জেসন টিকে একটি গোল করেন। ইস্টবেঙ্গলের পরের ম্যাচ ভবানীপুরের বিরুদ্ধে। মোহনবাগানের প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসুর ভবানীপুর ক্লাব এখনও পযর্ন্ত পাঁচটি ম্যাচ খেলে পাঁচটিতেই জয় পেয়েছে। দুরন্ত ছন্দে আছে। এদিন প্রেসবক্সে বসে ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ দেখে গেলেন ভবানীপুরের কোচ রঞ্জন চৌধুরী। ইস্টবেঙ্গল পরপর দুটি ম্যাচে পাঁচ গোলে জিতলেও ভবানীপুর দল কঠিন প্রতিপক্ষ হতে যাচ্ছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।