ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : চুক্তিপত্রে সই করতে ইচ্ছুক কিনা তা পরিস্কার করে জানতে চেয়ে ইস্টবেঙ্গল কর্তৃপক্ষকে কড়া চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছে বাঙ্গুর গোষ্ঠী। কতদিনের মধ্যে জানাতে হবে তা অবশ্য চিঠিতে লেখেননি শ্রীসিমেন্ট কর্তারা। তবে এবার তাঁরা হ্যাঁ বা না জানতে চেয়েছে খুব দ্রুত। যদি চুক্তিপত্রে সই না করে তাহলে সেই মত আইনি পদক্ষেপ করবে। ইতিমধ্যে পুরো বিষয়টা আইনি বিশেষজ্ঞরা দেখছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার পল্টু দাসের প্রয়াণ দিবস অনুষ্ঠানের শেষে ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার অভিযোগ করেছিলেন, টার্মশিট আর চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে অনেক পার্থক্য আছে। যা মেনে নেওয়া যায় না। তাতেই বেজায় চটেছেন ইনভেস্টর শ্রীসিমেন্ট কর্তৃপক্ষ। ইনভেস্টরের এক কর্তা বলছিলেন,” এই বিষয়টা আইনি বিশেষজ্ঞর দেখছে। তাই এখন প্রকাশ্যে আমরা কিছু বলতে চাই না। দুই চুক্তিপত্রে কোনও পার্থক্য নেই। বুধবার সন্ধ্যায় ইস্টবেঙ্গলকে টার্মশিট ও চূড়ান্ত চুক্তিপত্র -দুটোয় পাঠানো হয়েছে। দেবব্রত সরকার দুই চুক্তির ফারাকের কথা বলেছেন সেটা ঠিক নয়। যখন দুটো চুক্তিপত্র সামনে আসবে তখনই প্রমাণ হবে।”
শ্রীসিমেন্টের ওই কর্তা প্রশ্ন তুলেছেন,”মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে যখন ওরা টার্মশিটে সই করেছিল তখন তো সব কিছু দেখে, পড়েই সই করেছিল। তাহলে এখন আপত্তি কেন?” চিঠি পাওয়ার পর ইস্টবেঙ্গল কর্তারা কোনও বিবৃতি দেয়নি। যেহেতু শ্রীসিমেন্ট আইনি বিশেষজ্ঞর মাধ্যমে চিঠিটা পাঠিয়েছে তাই ইস্টবেঙ্গল কর্তারাও আইনি বিশেষজ্ঞর কাছে পাঠিয়েছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলেই যা বলার বলবেন।
এদিকে,কোয়েসের পর যদি শ্রী সিমেন্টকে চলে যেতে হয় তাহলে ইস্টবেঙ্গলের বর্তমান কর্তাদের সম্পর্কে খুব খারাপ বার্তা পৌঁছে যাবে কর্পোরেট জগতে।
অন্যদিকে,বাঙ্গুর গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান হরিমোহন বাঙ্গুর। এই মূহুর্তে কলকাতায় আছেন। তিনি আপাতত ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইচ্ছা প্রকাশ করেননি। চুক্তি পত্রে আগে সই তারপর আলোচনা করবেন বলে জানা গিয়েছে।