ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,১৬ জুলাই, কলকাতা : চরম সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। ইনভেস্টর শ্রীসিমেন্টের চুক্তিপত্রে সই করবে না ইস্টবেঙ্গল। এদিন, সন্ধ্যা ৬ টায় ক্লাব তাঁবুতে প্রায় দেড় ঘন্টার ইস্টবেঙ্গলের কর্মসমিতির বৈঠক হয়। সচিব কল্যাণ মজুমদারের সাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি সংবাদ মাধ্যমের কাছে তুলে দেওয়া হয়। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখিও হন তিনি।
এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,” এগ্রিমেন্টে মাঠ,টেন্ট, ক্লাবের লোগো,নাম ব্যবহার করা যাবে না। সদস্যদের মৌলিক অধিকার নেই। এই চুক্তি সই করলে ক্লাবের সদস্যদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হতে পারে। সেই কারণেই এই চুক্তিতে সই করতে চাই না আমরা। আমরা চাই না সদস্য-সমর্থকদের অপমান হোক। এই অবস্থায় আমরা সকল শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষকে ক্লাবের পাশে থাকতে অনুরোধ করছি। সভ্য-সমর্থক ও প্রাক্তন খেলোয়াড়দের মতামতও আহ্বান করছি।”
এমন একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া মানে তো ক্লাবের কোনও খেলা আর হবে না? উত্তরে ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদার বলেন,”আমাদের সব স্পোর্টিং রাইটসই তো ওদের কাছে। কাজেই খেলা না হওয়া নিয়ে তো ধোঁয়াশা থেকেই গেল।”
ইস্টবেঙ্গলের এই কঠিন সিদ্ধান্তে সমস্যায় পড়ে গেল আইএফএ। সই না হলে কলকাতা লিগে খেলাটা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়াল। নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থাকলে, শুধু কলকাতা লিগ নয়, আইএসএল সহ কোনও টুর্নামেন্টেই খেলতে দেখা যাবে না ইস্টবেঙ্গলকে। এদিন, কলকাতা লিগ নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন আইএফএ-এর চেয়ারম্যান, সভাপতি, সচিব ও তিন সহ সভাপতি। আগামী ২৩ জুলাই গভর্নিং বডির সভা ডাকা হয়েছে। সেই সঙ্গে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে ফের চিঠি দিয়ে লিগ খেলবে কিনা জানতে চাওয়া হচ্ছে। ২৩ জুলাইয়ের মিটিংয়েই ঠিক হবে ইস্টবেঙ্গল না খেললে কি হবে? আইএফএ-এর চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত বলেন,”২৩ জুলাই গর্ভর্নিং বডির মিটিংয়ে কলকাতা লিগ নিয়ে যাবতীয় আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
১ আগস্ট থেকে ট্রেন না চললে কলকাতা লিগ কি পিছিয়ে যাবে? নাকি এবারও লিগ হবে না? সচিব জয়দীপ মুখার্জি বলেন,”ট্রেন না চললে সমস্যা হবে। সেক্ষেত্রে সব ক্লাবের সঙ্গে কথা বলতে হবে। দেখতে হবে তারা কি চাই। তবে আরও একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসে কলকাতায় ডুরান্ড কাপ হবে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলতে হবে। কারণ লিগ আর ডুরান্ড এক সঙ্গে চলা অসম্ভব।”