ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,১৭ নভেম্বর : কলকাতা লিগের ফাইনাল ম্যাচ ঘিরে মহমেডান স্পোর্টিং শিবিরে টান টান উত্তেজনা। দীর্ঘ ৪০ বছর পর ফের লিগ জয়ের সামনে দাঁড়িয়ে আছে মহমেডান। শেষ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ১৯৮১ সালে।
শুধু মহমেডান নয়, রেলওয়ে এফসিও ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। ১৯৫৮ সাল। ইস্টার্ন রেল দলের কোচ তখন বাঘা সোম। আর সেই রেল দলে তখন খেলছেন পি কে ব্যানার্জি, নিখিল নন্দী, প্রদ্যোৎ বর্মন প্রমুখ দিকপাল ফুটবলাররা। সেই বছরে কলকাতার সমস্ত বড় ক্লাবকে হারিয়ে কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইস্টার্ন রেল। যা বাংলার ফুটবলে ইতিহাস তৈরি করেছিল রেল ফুটবল দল। ওটাই ছিল রেলের প্রথম ও শেষ কলকাতা (এখনও পযর্ন্ত ) লিগ জয়। ৬৩ বছর পর ফের লিগ জেতার সুযোগ রেলের সামন।
একটা সময় এই রেল দলের নাম ছিল চন্দ্র মেমোরিয়াল। এটাই আসল নাম। পরবর্তীকালে ক্লাবটিকে অধিগ্রহণ করে রেল। আটের দশকে এই চন্দ্র মেমোরিয়াল ক্লাবের নাম বদলে হয় রেলওয়ে এফসি।
লিগ ফাইনালের আগে ধারে ও ভারে রেলওয়ে এফসির থেকে অনেক এগিয়ে আছে মহমেডান স্পোর্টিং। লিগ খেতাব ঘরে তোলার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী সাদা-কালো শিবির। কোচ চেরনোভিচের প্রশিক্ষণে মহমেডান স্পোর্টিং কলকাতা লিগে যথেষ্ট ভালো পারফরম্যান্স করেছে। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ভালো খেলেও সেখানে শেষরক্ষা হয়নি। ফলে কলকাতা লিগ খেতাব ঘরে তুলতে পারলে সাদা-কালো শিবিরের ট্রফির খরায় দাড়ি পড়বে।
পাশাপাশি কোয়ালিফাইং রাউন্ড থেকে এক বিদেশি নিয়ে খেলতে হওয়ায় বিদেশি নির্ভরতা নেই রেলে। দলে একাধিক ফুটবলার রয়েছে যারা প্রথমবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে খেলতে নামবে। পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে নিজেদের মেলে ধরাও যে চ্যালেঞ্জ, তা মানছেন রেল কোচ সৌরিন দত্ত। রেলওয়ে এফসি’র দুই স্টপার বেন-শুভেন্দু মাণ্ডি মূল শক্তি। মূলত জমাট রক্ষণের জোরেই চলতি কলকাতা লিগে আলো ছড়িয়েছে রেলের দলটি। নক-আউট পর্বে এখন পর্যন্ত কোনও গোল হজম করেনি তারা। রেল শিবিরে খারাপ খবর, দলের বিদেশি স্ট্রাইকার গঞ্জো চোটের জন্য বৃহস্পতিবার মাঠে নামা প্রায় অসম্ভব।
স্বাভাবিকভাবেই রেলওয়ের রক্ষণভাগকে গুরুত্ব দিচ্ছেন মহমেডানের রুশ কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ। তিনি বলেন, ‘ওদের জমাট রক্ষণভাগ। তাই আমাদের আক্রমণে বৈচিত্র্য বাড়াতে হবে। ডুরান্ড কাপে অল্পের জন্য চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি। সমর্থকদের এবার হাসি মুখে বাড়ি ফেরাতে চাই।’ দলের প্রধান স্ট্রাইকার মার্কাস জোসেফ বলেন, ‘ওদের রক্ষণ শক্তিশালী। তবে আমি বরাবরই চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি। তাই মাঠেই জবাব দেব।’
দুই বিদেশি ডিফেন্ডার শাহির শাহিন ও স্ট্রাইকার জোসেফকে রেখেই প্রথম একাদশ সাজাতে চান চেরনিশভ। পরিবর্ত নিকোলা।