ইনসাইড স্পোর্টসে প্রতিবেদন,কলকাতা : আর্থিক তছরুপের অভিযোগে মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সচিব পদ থেকে অপসারিত ওয়াসিম আক্রম। ক্লাবের সমস্ত কর্তারা ওয়াসিমের বিরুদ্ধে সোচ্চার। ৩০ লক্ষ টাকার হিসেব দিতেই হবে। নইলে লিগাল অ্যাকশন নেওয়া হবে। শনিবার তা পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন মহমেডানের অন্যতম কর্তা কামারউদ্দিন। তাঁর কথায়,”গত মাসের পাঁচ তারিখ আমরা সমস্ত হিসেব চেয়ে ওকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি। আজ পযর্ন্ত কোনও হিসেব দেয়নি। ক্লাবেও সেভাবে আসে না। আজও আসতে বলা হয়েছিল। বলেছে ওর কোন আত্মীয়র বিয়ে আছে। আসতে পারবে না। এভাবে পালাতে পারবে না। হিসেব ওকে দিতেই হবে। না দিলে ক্লাব ছাড়বে না। লিগ্যাল অ্যাকশন নেবে।”
আজ, শনিবার, মহমেডান ক্লাবের কার্যকরী কমিটি আলোচনা করে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে কামারউদ্দিন, আমিরুদ্দিন ববিরা জানিয়ে দেন, মহমেডান ক্লাবের সচিব পদ থেকে ওয়াসিম আক্রমকে সরানো হল। তার জায়গায় নতুন সচিব করা হয়েছে দানিস ইকবালকে। আর কাউন্সিলর আমিরুদ্দিন ববি আসন্ন নির্বাচনের ব্যস্ততার জন্য সভাপতির পদ থেকে নিজেই সরে দাঁড়ালেন। নতুন সভাপতি হলেন গুলাম আসরাফ। এমন গুরুতর আর্থিক তছরুপের অভিযোগ থাকায় ওয়াসিম আক্রমের প্রতিক্রিয়া জানতে ‘ইনসাইড স্পোর্টস’ বেশ কয়েকবার ফোন করে। কিন্তু প্রথমে রিং হয়ে গেলে পরে ওয়াসিম ফোন বন্ধ করে দেন।
ক্লাব কর্তাদের দাবি, ওয়াসিম নিজে ক্লাবের ফুটবল দল সম্পর্কে নিজের মতো করে চালাচ্ছিলেন। কারও সঙ্গে আলোচনা করতেন না। মহমেডান ক্লাবের সহ সভাপতি কামার উদ্দিনের দাবি,”ওয়াসিম ৩০ লক্ষ টাকার হিসেব দিতে পারছে না। স্পনসর বাঙ্কাহিল টাকা দেওয়া বন্ধ করেছে। প্লেয়াররা টাকা চেয়ে স্ট্রাইক করল। তখন আমরা নিজেরা ২০ লক্ষ টাকা তুলে প্লেয়ারদের টাকা দিই। পরে আমরা তিন বিদেশি ফুটবলারকে ১০ লক্ষ টাকা করে দিয়েছি। পেপার আছে। দেখাতে পারি। এখনও পযর্ন্ত ফুটবল দল চালাতে গিয়ে যা খরচ হয়েছে তার মধ্যে ৩০ লক্ষ টাকার হিসেব নেই। অথচ ওয়াসিম মিডিয়াতে এমন ভাবে কিছু বিবৃতি দিয়েছে, যেন ক্লাবের সিনিয়র কর্তারা তাকে ঠিক ভাবে কাজ করতে দিচ্ছে না। পুরোটাই মিথ্যে কথা। আমরাও চাই স্পনসর আসুক। ক্লাবটা ভাল করে চলুক। কিন্তু কেউ যদি একক সিদ্ধান্তে ক্লাব চালাতে চায় তা কেউ মানবে না। বড় বড় কথা বলছিল। এখন ৩০ লক্ষ টাকার হিসেব দিতে পারছে না কেন? হিসেব ওকে দিতেই হবে। ক্লাব ওকে ছাড়বে না।”
আইলিগের মাঝে ক্লাবের এই অশান্তি দলের উপর প্রভাব যে পড়বেই তা বলাই যায়।