ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : কয়েক মাস আগেই ন্যাশাল গেমসে একটি সোনা ও তিনটি রুপো জিতেছিলেন। গতকাল ভুবনেশ্বরে সিনিয়র আর্টিটিস্টিক জিমন্যাস্টিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ৩ টি সোনা ও একটি রুপো জিতলেন বাংলার প্রনতি দাস। ধারাবাহিক ভাবে নিজের দক্ষতা তুলে ধরছেন প্রনতি।
প্রনতি দাস বলেন, “পদক জিতে ভালই লাগছে। নিজের পরিশ্রম এবং আমার কোচ টুম্পাদির (দেবনাথ) ভূমিকাও বিরাট। লক্ষ্য সামনের দিকে এগোনো।”
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে কলকাতার সাইতে প্রনতিদের নিয়ে নিঃশব্দে কোচিং করিয়ে যাচ্ছেন ভারতের অন্যতম সফল জিমন্যাস্ট টুম্পা দেবনাথ। তাঁকে কখনও প্রচারের আলোয় দেখা যায় না। ভুবনেশ্বরে সদ্য অনুষ্ঠিত সিনিয়র আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে টুম্পার দুই ছাত্রী প্রনতি দাস ও অন্তরা দাস অংশ নিয়েছেন। প্রনতির সাফল্যের পাশাপাশি অন্তরাও টিম ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন। ‘ইনসাইড স্পোর্টস’কে টুম্পা বলছিলেন,”প্রনতি খুব ভাল ছন্দে আছে। গত বারের ন্যাশনালে অলরাউন্ড চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। কয়েকমাস আগে ন্যাশনালে একটি সোনা ও তিনটি রুপো জিতেছে। এবার তিনটি সোনা ও একটি রুপো জিতল। প্রনতি অনেক উন্নতি করেছে। আরও সাফল্য ও পাবে।” অন্তরাও তো আপনার ছাত্রী। আপনার দুই ছাত্রী পদক জিতে ফিরছে। কেমন লাগছে? “দেখুন, ওদের তৈরি করছি। মন দিয়ে ওরা প্র্যাকটিসও করে। সাফল্য পেলে তো ভাল লাগবেই।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রনতি দাস আগে কোচ জয় প্রকাশ চক্রবর্তীর কাছে প্র্যাকটিস করতেন। পরে জয়প্রকাশের মৃত্যুর পর জিমন্যাস্টিক্স ছেড়ে দেবেন ভেবেছিলেন। কিন্তু টুম্পা দেবনাথের জন্যই নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন প্রনতি দাস। অলিম্পিয়ান প্রনতি নায়েকও টুম্পার কাছে প্র্যাকটিস করতেন। কিন্তু তিনি বেশি সুবিধা পাওয়ার জন্যই বাংলা ছেড়ে ওড়িশা চলে গিয়েছেন। কিন্তু প্রনতি দাস এখনও বাংলা ছেড়ে চলে যাননি। এখনও পদক জিতিয়ে বাংলাকে তুলে ধরছেন। কিন্তু বাংলা প্রনতি দাসদের প্রাপ্য সম্মান বা আর্থিক পুরস্কার দেওয়ার কথা ভাবে না। যা ওড়িশা সরকার করে দেখাচ্ছে।