জামশেদপুর এফসি: ২ (ডঙ্গেল, অ্যালেক্স)
এটিকে মোহনবাগান: ১ (প্রীতম)
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,৬ ডিসেম্বর : আবার হার! গত বুধবার মুম্বইয়ের কাছে ৫ গোল খাওয়ার পর সোমবার আবার হারল এটিকে মোহনবাগান। এদিন জামশেদপুর এফসির কাছে ১-২ গোলে হেরে গেল এটিকে মোহনবাগান। জামশেদপুরের হয়ে গোল দুটি করেন ডঙ্গেল ও অ্যালেক্স। বাগানের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন প্রীতম কোটাল। এই হারের পরে লিগ তালিকার পাঁচ নম্বরে নেমে গেল এটিকে মোহনবাগান।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে উঠে যায় হাবাসের ছেলেরা। ১০ মিনিটের মাথায় একটি সুযোগ পেয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় রয়কৃষ্ণ। ম্যাচে বল পজিশন বাগানের বেশি থাকলেও জামশেদপুরের ফুটবলাররা প্রতি আক্রমণে উঠে গিয়ে এটিকে মোহনবাগানের রক্ষনকে চাপে ফেলে দিয়েছে বারবার।

ম্যাচের প্রথম গোলটি আসে ৩৭ মিনিটে। মাঝমাঠ থেকে আক্রমণ শুরু হয়েছিল। জিতেন্দ্র সিংহ একাই মোহনবাগানের কয়েকজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে পাস দেন ডানদিকে। চলতি বলে দুরন্ত গোল করেন ডঙ্গেল।
জামশেদপুর দ্বিতীয় গোলটি করে ৮৪ মিনিটের মাথায়। এক ঝাঁক ডিফেন্ডারের মাঝ থেকে গোল করলেন অ্যালেক্স লিমা। মোহনবাগানের হয়ে একমাত্র গোলটি করন প্রীতম কোটাল। ম্যাচের বয়স তখন ৮৯ মিনিট।
যদিও গোলটি নিয়ে বিতর্কর সৃষ্টি হয়েছে। কর্নার থেকে শট ফিস্ট করেন জামশেদপুরের গোলকিপার রেহনেশ। সেখান থেকে বল প্রীতমের হাঁটুতে লাগার পর আশুতোষের গায়ে লেগে ঢোকে। আশুতোষ অফসাইডে ছিলেন বলে প্রতিবাদ করতে থাকেন জামশেদপুরের ফুটবলাররা। রেফারির কয়েকটা সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। বুমোস-প্রণয়ের মারামারিও হয় মাঠে। বল ছাড়া যে ভাবে প্রণয়কে ধাক্কা মেরে ফেলেছেন তাতে বুমোসকে লাল কার্ড দেখাতেই পারতেন। মাঝে একটি একটি হ্যান্ডবলকে কেন্দ্র করে মোহনবাগানের পক্ষ্যে পেনাল্টির দাবি উঠলেও রেফারি কোনও বিবেচনাই করেননি।