এটিকে মোহনবাগান – ১ (আত্মঘাতী-সুমিত পাসি)
ইমামি ইস্টবেঙ্গল – ০
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : আড়াই বছর পর কলকাতায় ডার্বি ম্যাচ। প্রত্যাশিতভাবেই রবিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন ৬০ হাজার দশর্কের উপস্থিতি। সেই আগের মতোই গ্যালারিতে উন্মাদনা। চির শত্রু ইস্টবেঙ্গলকে হারিয় ডুরান্ডে টিকে থাকলেও ওরা ভবিষ্যৎ আশঙ্কা নিয়েই যেন মাঠ ছাড়লেন মোহনবাগান সমর্থকরা। কারণ একটাই, দলে গোল করার লোক নেই। রয়কৃষ্ণার চলে যাওয়ার পর তিন কাঠির ভিতরে বল ঢুকছে কোথায়? ডুরান্ডের আগের দুটি ম্যাচেও একাধিক গোল নষ্ট করেছেন বাগান ফুটবলাররা। এদিনও তাই। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে লিস্টনের কর্ণার থেকে আসা বল সুমিত পাসির গায়ে লেগে নিজেদেরই গোলে বল ঢুকে যায়। নব্বুই মিনিটে এটাই একমাত্র গোল। এই আত্মঘাতী গোলেই ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে ১-০ গোলে হারাল এটিকে মোহনবাগান। এই জয়ের ফলে মোহনবাগান টানা ৬ টি ডার্বি ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলকে হারাল।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই ইস্টবেঙ্গল একটু বেশি রক্ষনাত্মক ফুটবল খেলে। কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইন যখন ভারতীয় দলের কোচ ছিলেন তখনও দেখা গিয়েছে তিনি আগে রক্ষণভাগকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দল সাজাতেন। এদিনও সেটাই দেখা গেল। তবে কোচ স্টিফেন প্রথমার্ধে চার বিদেশিকে দলে রেখেছিলেন।কারালাম্বোস কিরিয়াকু, ইভান গঞ্জালেজ, আলেক্স লিমা এবং এলিয়ান্দ্রো প্রথম একাদশে ছিলেন। তবে শুরু থেকে মোহনবাগান ছিল আক্রমণাত্মক। বল পজিশনও বেশি ছিল বাগান ফুটবলারদের। ইস্টবেঙ্গল কোচের মতোই বাগান কোচ জুয়ান ফেরান্তো চার বিদেশি ফ্লোরেন্তিন পোগবা, জনি কাউকো, কার্ল ম্যাকহিউ এবং হুগো বুমোস শুরু করেন।
কাউকো, লিস্টন কোলাসো, বুমোস, আশিক কুরুনিয়ান, বুমোস চমৎকার আক্রমণে উঠছিলেন। মোহনবাগান দলে আক্রমণ করার মতো ফুটবলারের অভাব নেই। শুধু গোলটাই হচ্ছে না। দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গল আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার চেষ্টা করে। দু’দলই বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করে ৷ কিন্তু গোলটাই আর হয়নি ৷ গোল করার লোকের অভাব স্পষ্ট লাল-হলুদ শিবিরেও। এই হারের সঙ্গে ডুরান্ডে পরবর্তী পর্বে যাওয়ার সম্ভাবনাও কার্যত শেষ হল ইমামি ইস্টবেঙ্গলের।