ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,কলকাতা : খলনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। এমনটা হবে হয়তো তিনিও জানতেন না। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভের এমন এক প্রোমো স্যুট করে প্রকাশ হতেই ক্ষুব্ধ মোহনবাগানের সদস্য-সমর্থকরা। আর তারপরেই বিকেল থেকে ফেসবুকে সৌরভের সমালোচনায় মুখর মোহনবাগান সদস্য-সমর্থকরা। তাদের অভিযোগ, মোহনবাগানকে ছোট করে দেখানো হয়েছে ওই প্রোমোতে। তাদের ভাবাবেগে আঘাত করেছে। ক্রিকেটার সৌরভকে সম্মান দিচ্ছেন ওঁরা। কিন্তু ব্যক্তি সৌরভকে ‘বিজনেসম্যান’, ‘ধান্দাবাজ’ বলতে পিছপা হননি বাগান সমর্থকরা।
কি ছিল এই প্রোমোতে? শুরুতেই ভুল তথ্য। সৌরভ বলেছেন,”৬ বছর আগে এই বাংলার মাটিতে শুরু হয়েছিল দুই ইমোশনের খেলা…”। পুরো তথ্যটাই ভুল। মোহনবাগান আর ইস্টবেঙ্গল হল শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব। দুই ইমোশনের খেলা তো ১০০ বছর ধরেই হচ্ছে। আইএসএল ও এটিকে কে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে ছোট করে দেখানো হয়েছে মোহনবাগানকে। ফেসবুকে বহু মোহনবাগান সদস্য-সমর্থক তাঁদের ক্লাবকে নিয়ে আপত্তির কথা উল্লেখ করে জনমত তৈরি করছেন। ওয়াশিং মেসিনে দুই ক্লাবের জার্সি মেলানোটাও ভাল ভাবে নেননি তাঁরা।
প্রশ্ন উঠছে, এই ধরনের প্রোমো তৈরি করার পর নির্দিষ্টভাবে এটিকের আধিকারিকরা কি পরীক্ষা করে দেখেছিলেন? সৌরভ এটিকের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর মত তারকাকে নিজেদের বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কন্টেন্ট কি থাকছে, তার দায়িত্বে কারা ছিলেন? আদৌ কি কন্টেন্ট দেখে প্রকাশ করা হয়েছে?
তবে বিতর্কিত প্রোমোর জন্য ফেসবুকে যে কুৎসিত ভাষায় সৌরভকে আক্রমণ করা হচ্ছে তার বিরোধীতা করেছেন মোহনবাগানেরই বেশ কিছু সদস্য-সমর্থকরা। এই প্রোমোর জন্য তারাও সৌরভের নিন্দা করেছেন। কিন্তু কুৎসিত গালাগাল থেকে বিরত থাকার আবেদনও করেছেন সেই কিছু সদস্য-সমর্থকরা। পুরো বিষয়টা নিয়ে দেখছেন দেবাশিস দত্ত ও সৃঞ্জয় বসু।